আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার (১১ এপ্রিল) বৈঠকে করেছেন। সেখানে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের অবস্থান নড়বড়ে বলে উল্লেখ করেছিলেন বাইডেন। তার এ মন্তব্যের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, বাইডেন মোদিকে বলেছেন যে মার্কিন প্রশাসন ভারতকে তেল আমদানিতে বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করতে পারে। একই সঙ্গে মস্কো থেকে জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়ানো নয়াদিল্লির স্বার্থের মধ্যে পড়ে না।
বাইডেন প্রশাসন ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছে যে, তারা রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখতে চায় না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ভারত রাশিয়া থেকে বিশেষ ছাড়ে কমপক্ষে ১৩ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে।
এর আগে মার্চে তথাকথিত ‘কোয়াড’ জোটের আলোচনায় এ দু’নেতা রুশ হামলার বিষয়ে যৌথ নিন্দা প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কোয়াডভুক্ত দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, ভারত অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দিতে ভারত অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে এপ্রিলের প্রথম দিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ নয়াদিল্লীতে মোদির সাথে সাক্ষাতকালে যুদ্ধ নিয়ে ভারতের অবস্থানের প্রশংসা করেন।
তবে বাইডেন গত ২১ মার্চ বলেছেন, মার্কিন মিত্রদের মধ্যে ভারতই ব্যতিক্রমভাবে রুশ হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি দ্বিধান্বিত অবস্থান নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া এখনও ভারতের অস্ত্রের বৃহত্তম যোগানদাতা এবং ভারত বৃহত্তম ক্রেতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।