Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    Bangla news
    Home মোদি ইতিমধ্যে শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন
    আন্তর্জাতিক

    মোদি ইতিমধ্যে শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন

    Saiful IslamSeptember 27, 20247 Mins Read
    Advertisement

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউএপিএ-র মতো আইন মোদির শাসনামলের আগেও ছিল। তবে এটি ভিন্ন মতাবলম্বী ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের শায়েস্তা করার অস্ত্রে পরিণত হয়েছে মোদির আমলে। আইনজীবী সুচিত্রা বিজয়ন ও সাংবাদিক ফ্রান্সেসকা রেচিয়ার লেখা বই ‘হাউ লং ক্যান দ্য মুন বি কেজড?’ বইয়ে এমন কয়েকজন ব্যক্তির গল্প তুলে ধরেছেন যারা মোদি ক্ষমতায় আসার পর ইউএপিএ বা অনুরূপ আইনে আটক হয়েছিলেন। তাঁদের মামলাগুলো একেকটা উদাহরণ এবং এসব মামলায় গ্রেপ্তার, সাক্ষ্য–সব নথিই সবার জন্য উন্মুক্ত। বইটি পড়লে মোদির শাসনব্যবস্থার ধারাকারা সম্পর্কে বোঝা যায়। যেমন রাজনৈতিক গ্রেপ্তার, অবৈধ তল্লাশি ও জব্দ করা, ভিন্ন মতাবলম্বীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা, বিভ্রান্তি ছড়ানোর ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে চুপ রাখা ও গ্রেপ্তার হওয়াদের অপমান করতে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা ইত্যাদি।

    Modi

    বইয়ের বিকে-১৬ পরিচ্ছদে বন্দীদের বর্ণনা এবং বিজয়ন ও রেচিয়ার পদ্ধতিগত গবেষণা মিলে ভিন্ন মতাবলম্বীদের অপরাধীকরণের যে ছবি ফুটে ওঠে, তা সত্যিই ভয়াবহ। নিউইয়র্কভিত্তিক ভারতীয় লেখক সিদ্ধার্থ দেব তাঁর ‘টোয়াইলাইট প্রিজনার্স: দ্য রাইজ অব দ্য হিন্দু রাইট অ্যান্ড দ্য ফল অব ইন্ডিয়া’ বইয়ে লিখেছেন, ‘নাগরিক স্বাধীনতাকে খর্ব করার মোদির চেষ্টা এবং এক সময়ের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টার অপরিহার্য অংশ হচ্ছে বিকে-১৬ মামলা। ভারতীয় সমাজের এই রাজনৈতিক ও সামাজিক রূপান্তর সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে দেবের বইয়ে। সিদ্ধার্থ দেব তাঁর বইয়ে ভারতের শহর ও রাস্তাগুলোর নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে মুসলিমদের জীবন ও সংস্কৃতির চিহ্নগুলো মুছে ফেলার চেষ্টার সমালোচনা এবং হিন্দু ডানপন্থীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিশ্লেষণ করেছেন।’

    সিদ্ধার্থ দেব তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘বেছে বেছে ও নিষ্ঠুর উপায়ে মোদি সরকার মুসলমানদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে এবং বিচ্ছিন্ন করেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে আশ্রয় নেওয়া মুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে ভারতের মধ্যবিত্তরা মোদির অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশংসা করে। সিদ্ধার্থ দেব সতর্ক করে বলেন, ‘বাজার সব সময় বৃহত্তর সমতা ও গণতন্ত্রের প্রবেশপথ হতে পারে না। বরং এটা সহিংসতা ও এই মাটির স্পন্দন থেকে আমাদের বিচ্যুত করে।’

       

    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সিদ্ধার্থ দেব হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সঙ্গে মোদির দীর্ঘকালের সম্পর্ক যাচাই করেছেন। আরএসএস আগামী বছর শতবর্ষ উদ্‌যাপন করবে। এটি একটি জঙ্গি সংগঠন যার প্রতিষ্ঠাতারা জার্মানির নাৎসি ও ইতালির ফ্যাসিস্টদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। (ওই নেতাদের বইয়ে ও বিভিন্ন বক্তৃতায় অ্যাডলফ হিটলার ও বেনিত্তো মুসোলিনির প্রশংসামূলক অনুচ্ছেদ রয়েছে)। ১৯৭০-এর দশকে আরএসএসে যোগ দেন মোদি। দেব লিখেছেন, ‘আরএসএস–কে দেখা যায় ধর্মীয় পোশাকে নিজেকে আচ্ছাদিত রাখতে। তারা অন্যান্য ধর্মকে কার্যত অস্বীকার করে। সংগঠনটি বৈচিত্র্য ও ভিন্নমতের বিপরীতে নির্মমভাবে কর্তৃত্ববাদী।’

    আরএসএসের মতো মোদিও দীর্ঘমেয়াদী খেলা খেলেন। বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ যেখানে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন এবং সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেখানে আরএসএসের লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করা। আর তাতেই তারা সফল হচ্ছে।

    হিন্দুদের জন্য বিপদ হচ্ছে, তাদের যে বঞ্চনা, তা দূর হচ্ছে না। মোদি ও তাঁর অনুসারীরা মুসলিমদের বহিরাগত বলে আখ্যা দিয়েছেন। মোদি গুজরাটে যেমন করেছেন, তাঁর বিরোধিতা করা মানে জাতীর সঙ্গে বিরোধিতা করা–এখনও সেভাবেই বিরোধীদের চিহ্নিত করেন। মোদির এই কর্মকাণ্ডগুলো ভারতের উদার গণতান্ত্রিক পরিচয়কে ক্ষুণ্ন করে। একই সঙ্গে মোদির ক্ষমতা সুসংহত করতে সহায়তা করে।

    চলতি নির্বাচনে একটি দুর্বল ম্যান্ডেটের পরেও মোদির সামনে এখন একমাত্র বাধা হচ্ছে, বিরোধীদের শক্তি, স্বাধীন গণমাধ্যমের অবশিষ্টাংশ এবং সংবিধান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে ভারতের বিচার বিভাগের প্রতিশ্রুতি।

    গত এক দশকে ভারতের অর্থনীতি বেশ দ্রুত গতিতে এগিয়েছে। অন্যদিকে বৈষম্যও বেড়েছে। মোদি জানেন, ভারতীয়দের আকাঙ্খা পূরণ করা কঠিন, তাই তাঁর সরকার ধর্মীয় আগুন লাগিয়েছেন। সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ অন্যান্য অগ্রাধিকারকে অগ্রাহ্য করে এবং বিজেপির খারিজ করার রাজনীতি কারণে সুবিধাবঞ্চিতরা সুবিধাভোগীদের কাছে মার খায়। মোদি যে হিন্দুত্ব প্রকল্পে বিশ্বাস করেন, সেটি দামোদার বিনায়ক সাভাকরের মতো নতুন আইকন তৈরির ওপর নির্ভর করে। আর সাভারকারের রাজনীতি ঠিকই মহাত্মা গান্ধীর রাজনীতির বিপরীত।

    গান্ধী একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু, তবে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন। তিনি ‘হিন্দ স্বরাজ’ (১৯০৯) নামের একটি বইয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। বইটি এখন আধুনিকতা, প্রযুক্তির বিপদ, গ্রামীণ জীবনের গৌরব, ঐতিহ্য উদ্‌যাপন ও আধ্যাত্মিকতার নিরিখে বিস্ময়করভাবে সেকেলে হিসেবে পড়া হয়।

    সাভারকার তাঁর ‘এসেনশিয়াল অব হিন্দুত্ব’ (১৯২২) বইয়ে হিন্দু ধর্মের পেশীশক্তি ও সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। বইটিতে ভারতের পতনের জন্য বহিরাগতদের বিশেষ করে মুসলিম আক্রমণকারী ও ব্রিটিশদের দায়ী করা হয়েছে। বিদেশি প্রভাবমুক্ত বিশুদ্ধ ভারত খুঁজতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, প্রকৃত ভারতীয় তারাই যারা ভারতকে তাদের পিতৃভূমি ও পূণ্যভূমি মনে করে।

    সাভারকার দীর্ঘদিন ধরে উপনিবেশের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিবাদ জারি রেখেছিলেন। ১৯০৯ সালে তিনি ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কারণ লিখেছিলেন। তিনি ইউরোপীয় জাতীয়তাবাদের প্রশংসা করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি দেশকে পুনরুদ্ধার করার জন্য এবং জার্মানদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তোলার জন্য হিটলার ও নাৎসিদের সম্পর্কে তিনি ভালো ভালো কথা বলতেন। তবে তিনি বর্ণাশ্রম প্রথার বিরোধিতা করতেন এবং নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিতেন।

    আইন বিষয়ে পড়তে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন সাভারকার। সেখানে থাকার সময়ে তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহ ও হত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে বিচারের জন্য ১৯১০ সালে একটি জাহাজে করে তাঁকে ভারতে পাঠানো হয়। কিন্তু জাহাজটি যখন ফ্রান্সে নোঙর করে, তখন তিনি জাহাজ থেকে পালিয়ে যান। তবে ফ্রান্স সরকার তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। পরে ভারতে ফিরে এলে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আন্দামানে পাঠানো হয়।

    মুসলিম বন্দীদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে সাভারকার কারাগারেই তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি নিজের মুক্তি চেয়ে বারবার ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে থাকেন। শেষে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ছেড়ে দেয়। তবে শর্ত দেয় যে, তিনি আর কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না এবং এই শর্ত মানতে তিনি বাধ্য থাকবেন।

    যাইহোক, মুক্তির পর সাভারকর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে প্রচুর লিখেছেন। মুসলিমদের স্থান দেওয়ার জন্য তিনি মহাত্মা গান্ধীর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। ১৯৪৮ সালে গান্ধীকে হত্যার পর সন্দেহভাজন ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকায় সাভারকারের নামও ছিল। তবে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে তাঁকে শেষ পর্যন্ত খালাস দেওয়া হয়।

    নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, নেতা হিসেবে তিনি সাভারকারকে ‘মডেল’ মানেন। নিয়মিতভাবে তিনি সাভারকরকে শ্রদ্ধা জানান। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে সাভারকরের রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। একজন ডানপন্থী উঠতি লেখক বিক্রম সম্পাত সাভারকরকে নিয়ে দুই খণ্ডের আত্মজীবনী লিখেছেন। এ ছাড়া সাভারকরকে নিয়ে সম্প্রতি একটি বায়োপিক নির্মাণ করা হয়েছে, যদিও সেটি বক্সঅফিসে পাত্তা পায়নি।

    সৌভাগ্যবশত এখন একটি জীবনী রয়েছে যেটিতে সাভারকরের ইতিবাচক ও নেতিবাচক–উভয় দিকই রয়েছে। বইটির নাম ‘সাভারকার অ্যান্ড দ্য মেকিং অব হিন্দুত্ব’। জানকি বাখলের লেখা এই বইয়ে সাভারকরের জীবনকে গভীরভাবে নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে সাভারকারের মারাঠি ভাষায় লেখা গদ্য ও কবিতাগুলো সংযুক্ত করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলের ইতিহাসবিদ বাখলে সাভারকারকে একজন সমাজ সংস্কারক ও বিপ্লবী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। মুসলিম প্রশ্নে সাভারকরকে গণতন্ত্রী হিসেবেই বর্ণনা করেছেন বাখলে। সাভারকারের প্রগতিশীল চিন্তার পাশাপাশি তাঁর কুসংস্কারগুলোও ব্যবচ্ছেদ করেছেন তিনি।

    জানকি বাখলে তাঁর বইয়ে সাভারকারের চিন্তাধারা ও বিজেপির হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শের মধ্যে একটি ধারাবাহিক সম্পর্ক বর্ণনা করেছেন। তিনি হিন্দুত্বের ওপর সাভারকারের বিস্তারকে ভারতীয় জাতীর উদ্‌যাপন বলে অভিহিত করেছেন। এই ধারনাটি খারিজি হিন্দু জাতীয়তাবাদ থেকে উদ্ভূত। বাখলে লিখেছেন, সাভারকার ঔপনিবেশিক ভারতে বাস করতেন। কিন্তু ব্রিটিশদের থেকে মুসলিমদের ব্যাপারে বেশি আচ্ছন্ন ছিলেন। তাঁর দৃষ্টিতে মুসলিমরা তিন ধরনের–যারা দাবি করেছিল এবং বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করেছিল, যারা হিংস্র ছিল এবং যারা হিন্দুদের পরাধীন করে দুর্বল করেছিল। এ সময় তিনি তিনি মুসলিম শাসকদের কথা উল্লেখ করেছেন, যারা ১২ শতক থেকে ১৮৫০ দশক পর্যন্ত দিল্লি নিয়ন্ত্রণ করেছিল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সাভারকার এসব ধারণা বই আকারে লিখেছেন এবং অনেক মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করেছে।

    অনেক হিন্দুত্ববাদী অনুগামীদের মতো মোদিও সাভারকারের লেখা ও বিশ্বদর্শন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন। বাখলে তাঁর বইয়ে দেখিয়েছেন, সাভারকারের দৃষ্টিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের এবং যারা ভারতীয় জাতিসত্ত্বা মানে না, তাদের কোনো জায়গা ছিল না। এই ধরনের চিন্তাধারা মোদি ও তাঁর অনুগামীদের মধ্যেও দেখা যায়। তাঁরা মনে করেন, ভারত ১৯৪৭ সালে গান্ধীর অহিংস নীতি ও নেহরুর বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে ভুল পথে গিয়েছিল। এখন আধুনিক ভারতের আইকন হিসেবে সাভারকারকে পুনরুজ্জীবীত করা ভারত পুনর্গঠনের প্রকল্পের বড় একটি অংশ।

    ভারত থেকে যারা বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হয়েছেন, তাদের ভূমিকাও ভোলার মতো নয়। ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ এডওয়ার্ড অ্যান্ডারসন তাঁর ‘হিন্দু ন্যাশনালিজম ইন দ্য ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা’ বইয়ের তরুণ হিন্দু প্রবাসীদের কথা লিখেছেন। ব্রিটিশ হিন্দুরা সেই আইনের বিরোধিতা করুক, যা বর্ণবৈষম্যকে বেআইনি করে তুলবে বা মার্কিন হিন্দুরা দাবি করেছে, সেখানে ব্যাপক ‘হিন্দুফোবিয়া’ রয়েছে, যদিও মোদি সরকারের সমালোচনা বন্ধ করার জন্য কেউ কেউ এটি আংশিকভাবে বলে থাকেন। তাঁরা নিজেদের হিন্দুত্ববাদী পরিচয় তৈরি করতেই এটি করেন।

    অ্যান্ডারসন বলেন, এই অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে এমন অনেক গোষ্ঠী ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত। তারা আর্থিক সমর্থন ছাড়াও নানাভাবে মোদি, বিজেপি ও আরএসএসকে সমর্থন দেয়। মোদি এটি বোঝেন, তাই ভারতীয় প্রবাসীদের প্রশংসা করার সুযোগ কখনোই হাতছাড়া করেন না।

    মোদি অনেক কিছুর সমষ্টি: তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে একটি কঠিন প্রতিমূর্তি হিসেবে দেখেন, যদিও তাঁর সমালোচকেরা এটিকে বিস্মিত ভারতীয়দের ‘হলোগ্রাম’ হিসেবে দেখেন। কৌশলটি গুজরাটে, তারপর সারা দেশে কাজ করেছিল। ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে এখন পর্যন্ত যে অবজ্ঞা দেখিয়েছেন তা তিনি বাদবাকি সময় চালিয়ে যেতে পারেন কিনা তা দেখার।
    নির্বাচন আসবে-যাবে এবং নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে তাঁর শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন। কিন্তু ভারত গঠনে নেহরুর প্রদর্শিত চিন্তা-ভাবনা ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় লাগবে। (শেষ)

    সলিল ত্রিপাঠি: নিউইয়র্কভিত্তিক লেখক। তিনি ‘দ্য কর্নেল হু উড নট রিপেন্ট: দ্য বাংলাদেশ ওয়ার অ্যান্ড ইটস আনকুয়েট লিগেসি’ নামে বই লিখেছেন। তিনি গুজরাটিদের নিয়ে একটি বইয়ের কাজ করছেন।

    লেখাটি বিখ্যাত সাময়িকী ফরেন পলিসি থেকে নেওয়া।
    সুত্র : ইন্ডেপেন্ডেন্ট টিভির অনলাইন থেকে নেয়া

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আন্তর্জাতিক ইতিমধ্যে গেছেন পৌঁছে মোদি শেষ! সীমায়,
    Related Posts
    আরএসএস

    ভারতের সবাই ‘হিন্দু’: আরএসএস প্রধান

    November 10, 2025
    BBC

    বিবিসিকে নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারির ব্যঙ্গ

    November 10, 2025
    হজ

    হজ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সৌদি সরকারের

    November 10, 2025
    সর্বশেষ খবর
    আরএসএস

    ভারতের সবাই ‘হিন্দু’: আরএসএস প্রধান

    BBC

    বিবিসিকে নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারির ব্যঙ্গ

    হজ

    হজ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সৌদি সরকারের

    যুদ্ধবাজ ইসরাইল

    যুদ্ধবাজ ইসরাইলকে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর কড়া হুঁশিয়ারি

    USA

    মার্কিন সিনেটে সমঝোতা, শেষ হতে চলেছে শাটডাউন

    PC

    কম্পিউটার চালু হতে যে সময় লাগে তার বেতন দাবি করে কর্মীদের মামলা

    ঘূর্ণিঝড়

    ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং ওয়াং:’, সরিয়ে নেয়া হলো ১ লাখ বাসিন্দাকে

    বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধানের পদত্যাগ

    বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধানের পদত্যাগ

    পাকিস্তানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হচ্ছে

    ফিলিপাইনে টাইফুনের তাণ্ডব

    ফিলিপাইনে টাইফুনের তাণ্ডব, ১০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া

    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.