আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার যে ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমা চাইলেন, সে ঘটনার শুরু হয়েছিল আট মাস আগে। তখন মহাধুমধামে ভারতের মহারাষ্ট্রে ছত্রপতি শিবাজির মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে দিন কয়েক আগে এ মাসেই সেই মূর্তিটি ভেঙে পড়ে। এ নিয়ে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এবার সেই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি শিবাজি মহারাজ এবং তার মূর্তি ভেঙে পড়ায় যাদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে, তাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পালঘরে মোদি বলেন, ‘যে মুহূর্তে আমি এখানে অবতরণ করি, আমি প্রথমে মূর্তি ভেঙে পড়ার জন্য শিবাজির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এই মূর্তি ধসে পড়ে যেসব মানুষ আহত হয়েছেন তাদের কাছেও ক্ষমা চাইছি।’
মোদি আরও বলেছেন, ‘যারা শিবাজিকে তাদের দেবতা বলে মনে করেন এবং মূর্তি ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন, তাদের কাছে আমি মাথা নত করে ক্ষমা চাইছি। আমাদের মূল্যবোধ আলাদা। আমাদের কাছে আমাদের দেবতার চেয়ে বড় কিছুই নয়।’
শুক্রবার পালঘরে ৭৪ হাজার কোটি টাকার বাঁধন বন্দর প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে বিজেপি আমায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছিল। আর যে প্রথম কাজটা আমি করেছিলাম তা হল, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সমাধিতে আমি ভক্ত হিসাবে বসেছিলাম রায়গড়ে ও একটা নতুন যাত্রা শুরু করেছিলাম। আমার ও আমার সহকর্মীদের কাছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ কেবলমাত্র একটি নাম নয়, তিনি আমাদের কাছে ভগবান। আমি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের পায়ের নীচে নতমস্তকে ক্ষমা চাইছি।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত ২৬ আগস্ট মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলায় ছত্রপতি শিবাজির ৩৫ ফুট লম্বা মূর্তিটি ভেঙে পড়ে। এই মূর্তি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতি মারাঠা নৌবাহিনী, ছত্রপতি শিবাজির উত্তরাধিকারকে সম্মান জানানো এবং আধুনিক ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে ঐতিহাসিক যোগসূত্র স্থাপন।
তবে উদ্বোধনের মাত্র আট মাসের মাথায় এই মূর্তি ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে ক্ষমতাসীন শিবসেনা সরকার। মূর্তি নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের পদত্যাগ দাবি করছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।