বিনোদন ডেস্ক : পার্থ-অর্পিতা কাণ্ডে তোলপাড় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। এবার আলোচনায় মদন মিত্রের সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছবি। সত্যিই কি দু’জনে কাছাকাছি? কী বলছেন শ্রীতমা। কলকাতার একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে শ্রীতমা বলেন, আমার সঙ্গে বা যে কোনও তারকার সঙ্গে রাজনীতিবিদদের জড়িয়ে এত কথা কিন্তু অর্থহীন।
রাজনীতিতে আসার আগেও অভিনেত্রী শ্রীতমা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুণীর কদর করতে জানেন। শিল্পীদের খুব ভালোবাসেন। সেই সূত্রে আমাদের পারস্পরিক আদানপ্রদান থাকেই।
মদনমিত্রের এলাকার পৌরমাতা তিনি, এমনটাই জানিয়ে বলেন, নির্বাচনে জিতে পৌরমাতা হওয়ার পরে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম পেশাগত। ওরা কেউ আমার মন্ত্রী, বিধায়ক বা সাংসদ। আমি পৌরমাতা। যেমন, মদন মিত্রের এলাকায় আমি পৌরমাতা।
মদনমিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সেটার ধরন বিশ্লেষণ করে শ্রীতমা বলেন, : মদনমিত্রকে আমি আমার বাবার বন্ধু হিসেবে বহু বছর আগে থেকেই চিনি। মদন মিত্রের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। বাবার ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মদনদা এবং উনার পুরো পরিবার আমাদের পাশে ছিলেন। অস্ত্রোপচার থেকে ওষুধ— বাবার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব কামারহাটির বিধায়ক নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বাবা চলে যাওয়ার পরে উনিই আমার বাবার জায়গা নিয়েছেন। মদন মিত্র শ্রীতমা ভট্টাচার্যের অভিভাবক। আর আমাকে নিয়ে গুঞ্জন তো নতুন নয়!
মদন মিত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এ সম্পর্কে শ্রীতমা বলেন, তাঁরা কোন ছবি দেখে বলছেন কে জানে! আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুললেই আপনি আর আমি কি খুব ঘনিষ্ঠ? বাকিদের কাছে ঘনিষ্ঠতার মাপকাঠি ঠিক কী? আমার জানা নেই।
তার পরেও বলব, মদন মিত্রর সঙ্গে যে ছবি নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো কিন্তু এক জন মেয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে তুলেছে। তাই আমার কোনও অস্বস্তি নেই। আমাদের সম্পর্ক খুব সুস্থ।
শ্রীতমা অভিনেত্রীর পাশপাশি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। তিনি কলকাতা সিটি করপোরেশনের কামারহাটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।