বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাবিশ্বের একটি দূরবর্তী গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এবং চন্দ্রা এক্স-রে অবজারভেটরি থেকে প্রাপ্ত ডেটা ব্যবহার করে এই ব্ল্যাক হোলের সন্ধান মিলেছে।
ব্ল্যাক হোলটি প্রতি মুহূর্তে এডিংটন সীমার চেয়েও ৪০ গুণ বেশি গতিতে পদার্থ গ্রাস করছে। গবেষকরা জেমস ওয়েবের ইনফ্রারেড দর্শন ব্যবহারের মাধ্যমে গ্যালাক্সির কেন্দ্রীয় অংশে ঘনীভূত গ্যাসের প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা অভূতপূর্ব। গবেষণার ফলাফল ‘ন্যাচার অ্যাস্ট্রোনমি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন আন্তর্জাতিক জেমিনি অবজারভেটরির হিয়োন সুহ। তিনি বলেন, LID-568-এর মতো দুর্বল বস্তুর শনাক্তকরণ জেমস ওয়েবের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হতো না। ইনটিগ্রাল ফিল্ড স্পেক্ট্রোগ্রাফ ব্যবহারটি নতুন এবং প্রয়োজনীয় ছিল পর্যবেক্ষণের জন্য।
অসামান্য তথ্য: প্রাচীন মহাবিশ্বে ব্ল্যাক হোলের বৃদ্ধি
LID-568 নামে পরিচিত এই ব্ল্যাক হোলটি বিগ ব্যাং-এর ১.৫ বিলিয়ন বছর পর দেখা গেছে। এটি মহাবিশ্বের প্রাচীনকালের দ্রুতবর্ধমান ব্ল্যাক হোলের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন তথ্য দিচ্ছে। বর্তমানে প্রচলিত তত্ত্ব অনুসারে, সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের উৎপত্তি হয় প্রাথমিক তারকা পতনের মাধ্যমে (লাইট সিড) বা গ্যাসের সরাসরি পতন থেকে (হেভি সিড)। তবে এতদিন তত্ত্বগুলো পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণের অভাবে ছিল।
গবেষণার সহ-লেখক এবং জ্যোতির্বিদ জুলিয়া বলেন, এই ব্ল্যাক হোলটি যেন দারুণ ভোজে মেতে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে যে, দ্রুতগতির পদার্থগ্রহণ প্রক্রিয়া এডিংটন সীমার উপরে কাজ করতে পারে, যা প্রাচীন মহাবিশ্বে বিশাল ব্ল্যাক হোলের উপস্থিতির একটি ব্যাখ্যা হতে পারে। সূত্র : এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।