আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরবের প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পা রাখলেন সৌদি আরবের রায়ানা বারনাভি। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস’র দ্বিতীয় ব্যক্তিগত মিশনে অংশ নেওয়া দুই সৌদি নাগরিকের মধ্যে তিনি একজন।
রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে মিশনটির যাত্রা শুরু হয়।
কয়েক দশকের মধ্যে সৌদি আরবের প্রথম নভোচারী হিসেবে এই যাত্রায় অংশ নেন ‘স্টেম সেল’ গবেষক রায়নাহ বারনাভি ও ‘রয়াল সৌদি এয়ার ফোর্স’-এর ফাইটার পাইলট আলি আল কার্নি।
মহাকাশ স্টেশনে এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় কাটিয়ে ফ্লোরিডার উপকূলের কাছাকাছি কোনো এক জায়গায় তারা অবতরণ করবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।
এছাড়া বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কক্ষপথে অবস্থানকালীন ৩৪ বছর বয়সী এই বায়োমেডিকেল বিজ্ঞানী স্টেম সেল এবং স্তন ক্যান্সার গবেষণা করার পরিকল্পনা করেছেন। আর নিজের এই কাজের মাধ্যমে রায়ানা বারনাভি মধ্যপ্রাচ্যের সকল নারীকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা করছেন।
এই মহাকাশযাত্রার আয়োজক হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানি ‘এক্সিওম স্পেস’। আর যাত্রা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন। মহাকাশে সবচেয়ে বেশি সময় (৬৬৫ দিন ও এখন চলমান) কাটানো মার্কিন নভোচারীর রেকর্ড এখনও তার দখলে।
এই যাত্রা দলের আরেক সদস্য হলেন মার্কিন ব্যবসায়ী জন শফনার, যিনি একটি ‘স্পোর্টস কার রেসিং’ দলেরও মালিক।
আইএসএস-এ পৌঁছানোর আগে মহাকাশে ধারণ করা একটি ভিডিওতে সৌদি ওই নারী নভোচারী বলেন, ‘বিশ্বের সকল মানুষের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। আমি চাই তুমি বড় স্বপ্ন দেখো, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো এবং মানবতায় বিশ্বাস করো।’
অ্যাক্সিওম মিশন ২-এ রায়ানা বারনাভির সঙ্গে আরেক নভোচারী আলি আল কার্নি ছাড়াও তাদের সঙ্গে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুই নভোচারী। তারা হলেন- কমান্ডার পেগি হুইটসন ও পাইলট জন শফনার।
যদিও সৌদি আরবের এটি প্রথম মহাকাশ অভিযান নয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম মহাকাশে যান সুলতান বিন সালমান বিন আব্দুলআজিজ। তিনি বিমান বাহিনীর পাইলট ছিলেন। আমেরিকার একটি মহাকাশ অভিযানে অংশ নেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।