জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর বনানী ধানার মহাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জালনোট ও নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), মো. রেজাউল করিম ওরফে রেজা (৪৩), মো. সোহেল (৪০), মো. সাইদুর রহমান (২৮), সোহেল মাহমুদ (২৪) ও মো. শাহা আলম।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮২ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যমানের জালনোট, জালনোট বিক্রয়ের নগদ দুই লাখ ১৪ হাজার টাকা ও জালনোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ডিবির-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বনানী থানার মহাখালী পুলিশ বক্সের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তিনজন ব্যক্তি জালনোট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জাল নোটসহ অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সকালে সেখানে অভিযান চালায় ডিবির দল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে ডিবির দল মো. সাইফুল ইসলাম ও রেজাউল করিম ওরফে রেজাকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে চার হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত আনুমানিক ৮টা ১০ মিনিটের দিকে পঞ্চগড় সদর থানার ব্যারিস্টার বাজার এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে মো. সাইদুর রহমান ওরফে সবুজ, মো. সোহেল মাহামুদ, মো. সোহেল ও মো. শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সবুজ ও সোহেল মাহামুদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের বাড়িতে তল্লাশি করে ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যমানের জালনোট, জালনোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জালনোট বিক্রির নগদ দুই লাখ ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতাররা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে জালনোট তৈরি করে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। তারা আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ জালনোট তৈরি ও সরবরাহের পরিকল্পনা করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।