জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁয় অনিরাপদ দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের কারণে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প,রিং রোড, তাজমহল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা ১১টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ম্যানেজার ও মালিকসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহারে প্রায় সবাই বেশ উদাসীন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করা। কোথাও অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখা মাত্রই আইনি ব্যবস্থাসহ তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে।
ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রহমান জানান, বেইলি রোডের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সারাদেশের মানুষ শোকে কাতর হয়ে পড়েছে। আমাদের মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় যেন এমন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন ভবনে থাকা হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে আমরা দেখেছি এসব হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সবচেয়ে অসতর্ক এবং কোনো দুর্ঘটনায় তারা কীভাবে সামাল দিবে সেই সম্পর্কে কোন ধারনাই নাই। আমরা বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকায় পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। বিশেষ করে, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার ও অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
অভিযানের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজিল হক ভূঞা জানান, সোমবার দুপুরের পর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মালিক ও ম্যানেজারসহ মোট ৩৫ জনকে আটক করেছি। পাশাপাশি, এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁর যথাযথ অনুমোদন রয়েছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু টেকসই, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।