জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ঈদ-উল-ফিতরে সারাদেশে যত সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, তার অধিকাংশ ছিল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদ ছাড়াও অন্য সময়েও দেশের মহাসড়কগুলোতে সিংহভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী থাকে মোটরসাইকেল। এই অবস্থায় জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা ও দুর্ঘটনা হ্রাসে করণীয় নির্ধারণে এক কর্মশালায় এসব সুপারিশ করা হয়।
এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অংশ নেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
তবে যেসব জাতীয় মহাসড়কের পাশে “সার্ভিস রোড” রয়েছে, সেসব সার্ভিস রোডে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি।
কর্মশালায় বলা হয়, বিগত তিনটি ঈদ-উল-ফিতরের তুলনায় সর্বশেষ ঈদ-উল-ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা বেড়েছে। এর কারণ মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বৃদ্ধি। বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের তথ্য পর্যালোচনায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার কারণ হিসেবে মোটরসাইকেল চলাচলকে দায়ী করা হয়েছে।
বিআরটিএ জানায়, ২০২১ সালের ঈদ-উল-ফিতরের সময় সারাদেশে ৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৫৮ জন। প্রতিদিন গড়ে ৭ জন নিহত হয়েছে। আর সর্বশেষ চলতি বছরের ঈদ-উল-ফিতরে সারাদেশে ১০৬টি দুর্ঘটনায় ১০৬ জনের মৃত্যু হয়। আহতের সংখ্যা ১৫৬।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, “গত ঈদযাত্রায় বেশিরভাগ দুর্ঘটনার কারণ মোটরসাইকেল। সাধারণ তুলনায় মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে।”
মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য একাধিক কারণ চিহ্নিত করেছে বিআরটিএ। এগুলো হলো- মহাসড়কে অসতর্ক, দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকের অননুমোদিত বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, পথচারীর অসাবধানতা, যত্রতত্র পারাপার ও পথচারীরা রাস্তা চলাচলে ডানপাশ ব্যবহার না করা, মহাসড়কে ধীর গতির যানবাহন ও নিবন্ধনবিহীন যানবাহন চলাচল, মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত আরোহী বহন, হেলমেট ব্যবহার না করা, চালকের অসচেতনতা ও ট্রাফিক আইন না মানা, সাইড রোড থেকে মূল সড়কে প্রবেশের ক্ষেত্রে মূল সড়কের গাড়িকে অগ্রাধিকার না দেয়া ও মহাসড়কে ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী না থাকা।
প্রেশার কুকারে যেসব খাবার রান্না করলে নষ্ট হয় স্বাদ-পুষ্টিগুণ
জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে বেশকিছু সুপারিশ করেছে বিআরটিএ। এগুলো হলো- জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা, দ্রুত ও বেপরোয় গতিতে চলা মোটরযান এবং অননুমোদিত ওভারটেকিং করা মোটরযানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, জাতীয় মহাসড়কে হিউম্যান হলার, থ্রি-হুইলারসহ নছিমন ও করিমনের মতো বাহন চলাচল বন্ধ করা, রাস্তা পারাপারে পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, চালকদের প্রশিক্ষণ, খেলাপি ও কাজগপত্রবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান জোড়ালো করা এবং জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।