জুমবাংলা ডেস্ক : একের পর এক অভিনব উপায়ে নিজের প্রতিবাদ চালু রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে থেকে নিজের আন্দোলনের সূচনা করা রনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ও চলমান দূর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিনব পন্থায় নিজের প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। রনির সাথে যোগ দিচ্ছেন সাধারণ অনেক শিক্ষার্থীও।
শনিবার (১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘মহিউদ্দিন রনি সমালোচক সংসদ’ নামে একটি গ্রুপ খোলেন রনি। নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি মহিউদ্দিন রনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, একজন আর্টিস্ট, এক্টিভিস্ট। যারা আমার সমালোচক। তারা যেন আমার পথপ্রদর্শক। সমালোচকদের প্রতিটি কথা আমার জন্য মূল্যবান। তাদের প্রতিটি সমালোচনা আমি গুরুত্বের সঙ্গে ব্যাখ্যা এবং পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেই এবং আমার এক্টিভিটিজে প্রয়োগ করি। আমি আমার সমালোচকদের মূল্যবান অনুভূতি, কথা, বাণী, উপদেশকে হারিয়ে যেতে দিতে চাই না। তাই এই গ্রুপটি খোলা হয়েছে। আপনারা আপনাদের মত প্রকাশ, আপনাদের ব্যক্তি, পরিবার, এলাকা, দেশের সমস্যাগুলোও এখানে শেয়ার করতে পারেন। আমরা সবাই মিলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেগুলো সমাধান করায় সচেষ্ট থাকবো।”
ইতিমধ্যেই রনির পোস্টে সমর্থন জানিয়ে সাধারন মানুষের অনেক মন্তব্য লক্ষ্য করা গেছে। কেউ বলছেন, ‘স্যালুট ভাই আপনাকে’। কেউ বলছেন, ‘অভিনব প্রতিবাদ’। কেউ বা বলছেন, ‘খুব সুন্দর করে বাস্তবতা তুলে ধরছেন ভাই’।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ ) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যতিক্রমী আর্টস প্রদর্শনী করেন রনি। ৩০ মার্চ রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হওয়া রনির এই আর্টস প্রদর্শনীতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন চিত্রের প্রতীকী রুপ তুলে ধরেন রনি। রাস্তায় হাতে শেকল পরে প্রতীকী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন রনি ও তার সহকর্মীরা। কপালে সিটকানো ‘১০০০ টাকা’ লেখা একটি প্রতিবাদী টোকেন ও বুকে লাগানো ‘দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট’ স্লোগান। জনসাধারন সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার নামে প্রতীকী সহযোগীরা শেকল পরে রনির সাথে প্রতিবাদে অংশ নেয়। নিজেদের ব্যতিক্রমী আর্টস প্রদর্শনীতে রনি ও তার সঙ্গীরা ফুটিয়ে তোলেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নৈরাজ্যের চিত্র।
২০২২ সালের ৭ জুলাই থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে হাতে শেকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করেন রনি। শুরুতে একা আন্দোলন করলেও পরে তার বন্ধু, সহপাঠীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও তার সঙ্গে কমলাপুর রেল স্টেশনে অবস্থান নেন। এরপর থেকেই নিয়মিত অভিনব উপায়ে নিজের প্রতিবাদ জারি রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।