জুমবাংলা ডেস্ক : বাজারে পরিচ্ছন্ন মুদ্রা সরবরাহ রাখতে এই প্রথম নীতিমালা করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত মুদ্রা পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রথমবারের মতো নীতিমালা জারি হল।
এর মাধ্যমে অপ্রচলনযোগ্য মুদ্রা বদলের দেওয়ার মতো অপরিচ্ছন্ন মুদ্রাও বাজার থেকে তুলে নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে সমপরিমাণ নতুন মুদ্রা বাজারে সরবরাহ করা হবে।
সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেওয়া এক নির্দেশনয় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা’ অনুমোদনের কথা জানান হয়।
এই নীতির আলোকে বাজারে প্রচলনযোগ্য বা ব্যবহারযোগ্য থাকার পরও অধিক ময়লাযুক্ত, ড্যাম্প, মরিচাযুক্ত, অধিক কালিযুক্ত, লেখা-লেখি ও স্বাক্ষরযুক্ত নোট সরিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, “প্রচলিত নোটের সৌন্দর্য ও গুণগত মানের উপর সে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়।”
বর্তমানে ছেঁড়া-ফাটা এবং অপ্রচলনযোগ্য নোট সরাসরি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বদলে দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাচাই-বাছাই শেষে অচল নোট নিয়মিত ধ্বংস করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কাঠামোতে বর্তমানে ১ হাজার টাকা, ৫০০ টাকা, ২০০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা ও ১০ টাকা মূল্যমানের নোট রয়েছে। এই ৭ ধরনের মুদ্রাকে ‘ব্যাংক নোট’ বলা হয়।
এছাড়া ৫ টাকা, ২ টাকা ও ১ টাকা মূল্যমানের কাগুজে নোটের পাশাপাশি ধাতব মুদ্রাও রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে ৫০ ও ২৫ পয়সা মূল্যমানের শুধু ধাতব মুদ্রা। এই পাঁচটি মুদ্রার নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাস শেষে বাজারে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বিভিন্ন মানের মুদ্রা বাজারে রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা মানের বিভিন্ন মুদ্রা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নেই। এ পরিমাণ মুদ্রা মানুষের হাতে নগদ আকারে রয়েছে।
অর্থাৎ বাজারে সরবরাহকৃত বিভিন্ন মানের মুদ্রার মধ্যে ৯১ দশমিক ৩৬ শতাংশই ব্যাংকের বাইরে মানুষের কাছে নগদ আকারে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।