জুমবাংলা ডেস্ক: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে একজন ‘ট্যালেন্টেড অভিভাবককে’ হারিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুহিতের ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেন।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে মুহিতের জানাজার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেন, ‘মুহিত ভাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড লোক আমাদের পরিবারে আর নেই। তিনি খুবই মহৎ ছিলেন। আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম। তিনি আমার ভাই হিসেবে, বন্ধু হিসেবে আমাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। তার এ মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।’
আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সিলেটের রায়নগরে সাহেব বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওখানে আমার বাবা-মা, দাদা-দাদিসহ সবার কবর রয়েছে।’
এদিকে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মুহিতের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা শেষে সিলেটে নিয়ে দাফন করা হবে।
এর আগে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুহিতকে নেওয়া হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। রাত ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বজনরা। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে শোক জানান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারিমন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়নে সিলেট-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বার বাজেট ঘোষণা করেন মুহিত।
মুহিতকে কখনো নাম ধরে ডাকেননি প্রধানমন্ত্রী, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে যা বলেছিলেন এই অর্থমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।