জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রাম বাংলায় এখনো প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে সাপ খেলার আয়োজন হয়ে থাকে, যাকে ঝাঁপান খেলা বলে। বিষধর গোখরা সাপ মঞ্চে ছেড়ে দিয়ে উঁচু করে ফণা তোলানোর জন্য সামনে বীণের তালে নাচানাচি করেন সাপুড়ে। আর মনের মধ্যে ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে বিষধর সাপ খেলা দেখে রোমঞ্চিত দর্শনার্থী।
সম্প্রতি ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালী গ্রামে ঝাঁপান খেলা বা সাপ খেলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে আশপাশের জেলা থেকে মাটির পাত্র ও কাঠের বাক্সে করে সাপ নিয়ে আসেন ১২টি সাপুড়ে দল।
তবে, এখানে জয়-পরাজয় মুখ্য ছিল না, সাপের খেলা দেখতে পেরেই খুশি উপস্থিত দর্শকসহ সবাই। আর মানুষকে নির্মল আনন্দ ও বিনোদন দিতে পেরে খুশি সাপুড়েরাও।
গ্রাম বাংলার প্রাচীন এতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সাপের খেলা বা ঝাপান খেলার আয়োজন করেন স্থানীয় সাপুড়ে মনজেল হোসেন। আগামীতেও এ খেলা চালিয়ে যেতে চান বলে জানান তিনি।
পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঝাঁপান খেলা টিকিয়ে রাখা দরকার বলে মনে করেন এলাকার সচেতন নাগরিক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রাম বাংলা প্রাচীন ঐতিহ্য নতুন প্রজন্ম বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতার। বৃষ্টির কারণে সাপের খেলায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও তা উপেক্ষা করেই চলে ঝাঁপান খেলা। আর বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের দর্শকরা তা উপভোগ করে নীরবতায়।
ঝাঁপান খেলা বা সাপ খেলা একটি গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এক সময় গ্রাম বাংলায় বিভিন্ন দিবস বা ঘরোয়া আয়োজনে দেখানো হতো। কিন্তু প্রযুক্তি আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন এসব খেলা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এই হারিয়ে যাওয়া এতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন এমন আয়োাজনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।