জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চিনাডাঙ্গা বিলে একসময় জলাবদ্ধতা ছিল অভিশাপের মতো। প্রায় সারা বছরই থাকত কচুরিপানা। তা সাফ করে শুধু বোরো চাষ করা যেত। সে জন্য বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা দিতে হতো শ্রমিকদের। সেই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে এখানকার কৃষক।
কৃষি বিভাগের ডালি পদ্ধতিতে সবজি চাষ হাসি ফুটিয়েছে এখানকার কৃষকদের। নাটোরের বড়াইগ্রামে অনাবাদি ও জলাবদ্ধ জমিতে ডালি পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল হয়েছে কৃষি বিভাগ। এ পদ্ধতিতে জলাবদ্ধ জমির ওপর বাঁশের মাচায় ঝুলছে লাউ, করলা, শিম, কুমড়া, শসা ও ঝিঙাসহ নানা জাতের সবজি। একই সঙ্গে নিচে জমে থাকা পানিতে চলছে মাছ চাষ। এসব জমিতে সবজি চাষে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
ডালি পদ্ধতির উদ্ভাবক এবং প্রকল্প পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক লাগে না। কচুরিপানা পচা মাটিতে সবজি লাগানোর ফলে অর্গানিক সার পাওয়া যায়। আর এটা ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যসম্মত সবজি উৎপাদন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।