বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মঙ্গলগ্রহকে মানুষ লাল গ্রহ বলেই চেনেন। সেই মঙ্গল যে এমন রঙিন হয়ে উঠতে পারে তা এর আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।
মঙ্গলগ্রহকে আরও বেশি করে চেনার লড়াইয়ে একটা দিনও ফাঁকি দিতে রাজি নন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা নিরন্তর মঙ্গলগ্রহ সম্বন্ধে নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করে চলেছেন। সেই লড়াইয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা এখন উঠেপড়ে লেগেছেন মঙ্গলের জলবায়ুকে সার্বিকভাবে জানতে।
এজন্য নাসা ভরসা করেছিল ম্যাভেন মিশনকে। সেই ম্যাভেন মিশনের হাত ধরেই নাসার বিজ্ঞানীরা ২টি ছবি পেয়েছেন। একটি তোলা হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। যখন মঙ্গলগ্রহ সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করছিল। আর দ্বিতীয়টি তোলা হয়েছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। যখন মঙ্গল সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করছিল।
২০২২-এ তোলা ছবিতে মঙ্গলের দক্ষিণ গোলার্ধ গুরুত্ব পেয়েছে। আর ২০২৩ সালের ছবিতে মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধ গুরুত্ব পেয়েছে। তবে এই ২টি ছবিই তোলা হয়েছে বিশেষ আলট্রা ভায়োলেট স্পেকট্রোগ্রাফ যন্ত্র দিয়ে।
যাতে মানুষের চোখে এই বিশেষ ২টি ছবি ভালভাবে ধরা পড়ে তাই এতে রং আরোপ করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্রাইটনেস স্তরকে কাজে লাগিয়ে অতিবেগুনির তরঙ্গদৈর্ঘ্য রেঞ্জকে ৩টি রংয়ে আলাদা করা হয়েছে সবুজ, লাল এবং নীল।
এই ৩টি বেসিক রংকে কাজে লাগিয়ে মঙ্গলের বায়ুস্তরের ওজোনস্তরকে বেগুনি দিয়ে বোঝানো হয়েছে। মেঘ বোঝানো হয়েছে সাদা দিয়ে। কুয়াশা বোঝানো হয়েছে নীল রং দিয়ে। মঙ্গলগ্রহের মাটিকে বোঝানো হয়েছে বিভিন্ন সবুজ রং দিয়ে।
ছবিতে মঙ্গলের মেরুর বরফ স্তরও পরিস্কার। তবে বিজ্ঞানীরা সকলের বোঝার জন্য এই রংয়ের ব্যবহার করে আদপে কিন্তু সব শেষে মঙ্গলগ্রহকে একদম নতুন রূপে মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।