নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহে তরল পানির হ্রদের সন্ধান পেয়েছে। এই আবিষ্কার হয়েছে মঙ্গলের দক্ষিণ গোলার্ধের জেজেরো ক্র্যাটারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে গবেষণাকে নতুন দিশা দেবে।

এই আবিষ্কারটি নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, রোভারটি আন্ডারগ্রাউন্ড রাডার ব্যবহার করে পানি শনাক্ত করেছে। এটি মঙ্গল অভিযানের একটি মাইলফলক বলে বিবেচিত হচ্ছে।
কীভাবে শনাক্ত হলো পানি
পারসিভিয়ারেন্স রোভারটি RIMFAX রাডার ব্যবহার করেছে। এই রাডার মাটির ১০ মিটার নিচ পর্যন্ত স্ক্যান করতে পারে। রাডার ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা পানির অস্তিত্ব নিশ্চিত হয়েছেন।
এই হ্রদের পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। মঙ্গলের তাপমাত্রায় সাধারণ পানি জমে বরফ হয়ে যায়। কিন্তু লবণযুক্ত পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে। গবেষণাপত্রটি Nature Astronomy জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
জীবন সন্ধানে কী অর্থ বহন করে
পৃথিবীতে যেখানেই পানি আছে, সেখানেই জীবন আছে। এই নীতির উপর ভিত্তি করেই মঙ্গলে পানির সন্ধান চালানো হচ্ছিল। তরল পানির হ্রদ পাওয়ায় প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো।
নাসার প্রধান বিজ্ঞানী ড. থমাস জুরবুচেন বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। ভবিষ্যত মঙ্গল মিশনগুলো এখন এই অঞ্চলকে প্রাধান্য দেবে। মঙ্গলের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পরিকল্পনাও জোরেশোরেই চলছে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী
২০২৬ সালের মধ্যে নাসা আরও একটি রোভার মঙ্গলে পাঠাবে। এই রোভারটি জেজেরো ক্র্যাটার থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। সংগ্রহকৃত নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে গবেষণা করা হবে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিও একই প্রকল্পে কাজ করছে। তাদের এক্সোমার্স রোভারও জীবন সন্ধানে সাহায্য করবে। সকল ডেটা শেয়ার করার মাধ্যমে গবেষণা ত্বরান্বিত হবে।
**এই আবিষ্কার মঙ্গলে মানব বসতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল। বিজ্ঞানীরা এখন নিশ্চিত যে মঙ্গলে **তরল পানি** বিদ্যমান। এটি মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায়।**
জেনে রাখুন-
মঙ্গলে কি মানুষ বাস করতে পারবে?
বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন। পানির সন্ধান সেই সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি।
পারসিভিয়ারেন্স রোভার কী?
নাসার মঙ্গল মিশনের রোবটিক গাড়ি। এটি ২০২১ সালে মঙ্গলে অবতরণ করে। নমুনা সংগ্রহ ও গবেষণা তার কাজ।
জেজেরো ক্র্যাটার কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বিজ্ঞানীদের ধারণা এখানে প্রাচীন হ্রদ ছিল। তাই প্রাণের চিহ্ন খুঁজতে এই এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলের পানি কি পানযোগ্য?
না, এতে উচ্চমাত্রার লবণ ও খনিজ থাকবে। পৃথিবীর মতো এটি সরাসরি পান করার উপযোগী নয়।
পরবর্তী মঙ্গল মিশন কখন?
নাসা ২০২৬ সালে নতুন রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এটি আরও উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।