বিনোদন ডেস্ক : নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পর দাফন হবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর)। মৃত্যুর বেশ কয়েকদিন পর দাফন সংক্রান্ত বিষয়টি চূড়ান্ত হলো। যদিও এর আগে বুধবার তার দাফনের কথা জানা গিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে কাগজপত্রের জটিলতার জন্য সম্পন্ন করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় রাজধানী ঢাকার রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে গায়ক মনি কিশোরের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আর ওই মসজিদের পাশের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশ বরেণ্য গীতিকার মিল্টন খন্দকার।
এদিন বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ গীতিকার লিখেছেন, ‘প্রশাসনের অনুমতি মিলেছে। কবরস্থান ঠিক করা হয়েছে, দক্ষিণ বনশ্রী কবরস্থান। যাচ্ছি ঢাকা মেডিকেলে। মরদেহ নিয়ে ফিরতে রাত হবে। আশা করছি রাত নয়টায় জানাজা হবে বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে। দক্ষিণ বনশ্রী চারতলা অফিসের সামনে। সবাইকে জানাজায় শরীক হয়ে রুহের মাগফিরাত কামনায় উপস্থিত হতে অনুরোধ করছি ‘
এ ব্যাপারে গীতিকার মিল্টন খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মনি কিশোরের মরদেহ নেয়ার জন্য এসেছি। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আছি। রাস্তার অবস্থা তেমন ভালো নয়। আমরা তো সময় দিয়েছি রাত ৯টায়। চেষ্টা করব আজই তাকে দাফন করার জন্য। যদিও একটু দেরি হয়, তবুও আজই দাফন সম্পন্ন করতে চাই।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর রাতে হঠাৎই মনি কিশোরের মৃত্যুর খবর আসে। বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন জানানো হয়, প্রায় চার-পাঁচদিন আগে মৃত্যু হয়েছে তার। আর মৃত্যুর কয়েকদিন পার হলেও ধর্মান্তরিত জটিলতার কারণে দাফন করা যাচ্ছিল না। গায়কের মেয়ে নিন্তি চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কর্তৃপক্ষকে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী বাবাকে দাফনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আর অনিবার্য কারণে বাবার শেষ বিদায়ে হাজির হতে পারছেন না তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরুতে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। দেড় যুগ আগে সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে। আর তার সঙ্গে বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন তিনি। আর সেই সংসারের সন্তান নিন্তি চৌধুরী।
নব্বই দশক থেকে সুরেলা কণ্ঠের মাধ্যমে শ্রোতাদের মন জয় করে এসেছেন মনি কিশোর। বেশ আগের গাওয়া ‘কী ছিলে আমার, বলো না তুমি’ গানটি এখনো শ্রোতাদের মুখে মুখে শোনা যায়। আর এমন জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা দীর্ঘ সময় ছিলেন আড়ালে। অনেকটা অভিমান করেই নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন তিনি। শেষ দিকে এমনটাও হয়েছে যে, কেউ যেন যোগাযোগ করতে না পারে, এ জন্য নিজের ব্যবহৃত পুরনো ফোন নম্বরও বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
মনি কিশোরের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা অশোক কুমার মণ্ডলের ভাষ্য অনুযায়ী―মনি কিশোর হচ্ছে গায়কের পোশাকি নাম। প্রকৃত নাম হচ্ছে অরুণ কুমার মণ্ডল। পুলিশ কর্মকর্তা বাবার সাত সন্তানের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন তিনি। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর দেড় যুগ আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় গায়কের। এরপর থেকে একাই থাকতেন তিনি। একমাত্র মেয়ে নিন্তি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। ১৯৫৮ সালে নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপুরে মামাবাড়িতে জন্ম মনি কিশোরের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।