জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসেছিলেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা। পরে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

কোটালীপাড়া থানার ওসি রিয়াদ মাহামুদ জানান, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য তাপস হালদারকে (৩৫) মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাপস ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
তাপস হালদারের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট হরিদাস মজুমদার নয়ন বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমরা পাঁচ-সাতজন মিলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য কোটালিপাড়া ইউএনও কার্যালয়ে যাই। সেখানে প্রবেশের আগে কোটালীপাড়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার হাওলাদার আসেন, পরিচিত হন, কিছু কথা বলেন এবং চলে যান। এরপর পুলিশ এসে তাপস হালদারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তাপস ১৭ বছর কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলেন না। আমাদের জানা মতে, তার নামে আগে কোনো মামলা ছিল না। তাপস হালদারের এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে, যদি নির্বাচন করতে পারেন, তা প্রমাণিত হবে।
হরিদাস মজুমদার বলেন, তারপরও আমরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। মনোনয়নপত্র নিতে পারলে দাখিল করা হবে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি রিয়াদ মাহামুদ বলেন, “দুপুরে দিকে উপজেলা শহরের পশ্চিমপাড় এলাকা থেকে তাপস হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার ওয়াপদার হাট এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
চলতি বছরের ১৬ জুলাই এনসিপির ‘গোপালগঞ্জ রোডমার্চ’ ঠেকাতে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ওয়াপদার হাট এলাকায় গাছ ফেলে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে জনমনে ভীতি সৃষ্টি ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার তৎকালীন এসআই উত্তম কুমার সেন বাদী হয়ে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেন।
সূত্র: বিডিনিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



