বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই নেতৃত্বহীন চলচ্চিত্রের মাদার সংগঠন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি। আগামী ২১ মে সংগঠনটির নির্বাচন হবে। এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি যে প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন সেই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে লড়বেন আলোচিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান। মোট কথা আবোরো নির্বাচনে লড়বেন ডিপজল।
ডিপজলের জানান, চলচ্চিত্রের মাদার অর্গানাইজেশন হচ্ছে প্রযোজক সমিতি। প্রযোজকরা অর্থ লগ্নি করলে সিনেমা নির্মিত হয়, না করলে হয় না। প্রযোজকদের এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। প্রশাসক দিয়ে চালানো হয়েছে। এখন এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। নির্বাচন হবে। আমি এবারের নির্বাচনে সেলিম খানকে সভাপতি করে নির্বাচন করব।
তার ভাষ্য, বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা দুজনই বর্তমানে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করছি। অন্যদের যেভাবে এগিয়ে আসা বা সিনেমা নির্মাণ করার কথা তারা সেভাবে এগিয়ে আসছেন না। সমিতির ৫০ জন সদস্যও যদি বছরে একটি করে সিনেমা নির্মাণ করতো তাহলে বছরে অন্তত ৫০টি সিনেমা দর্শক পেত। চলচ্চিত্রের আজকের এই দুরবস্থার সৃষ্টি হতো না। এ উদ্যোগটি কেউই নিচ্ছে না। আমি এবং সেলিম খান দুজনে মিলেই কমপক্ষে ৫০টি সিনেমা নির্মাণ করছি। অন্যরা এগিয়ে এলে সংখ্যাটি আরো বাড়ত। তাহলে চলচ্চিত্র গতি পেত এবং সিনেমা হলও বন্ধ হতো না।
এদিকে প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে ডিপজল ও সেলিম খানের অংশগ্রহণের খবরে চলচ্চিত্রের লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, এ দুজন এবং তাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে চলচ্চিত্র খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। শিল্পী ও কলাকুশলীরা আবার কর্মমুখর হয়ে উঠবে। তাদের বেকারত্ব ঘুচবে।
তারা বলছেন, ডিপজল ও সেলিম খান কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তারা একের পর এক সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন।
২০০৬ সালে চলচ্চিত্রের চরম অশ্লীল সময়ে ডিপজল কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, মায়ের হাতে বেহেশতের চাবি’র মতো একের পর এক সিনেমা বানিয়ে চলচ্চিত্রের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। এসব সিনেমা চলচ্চিত্র থেকে অশ্লীলতা দূর করতে মূল ভূমিকা পালন করে।
অন্যদিকে, সেলিম খান চলচ্চিত্রে এসে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে যাচ্ছেন। তিনি ১০০ সিনেমা নির্মাণের মেগা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২ মার্চ বিএফডিসির জহির কালার ল্যাবের ভিআইপি প্রজেকশন হলে এক জরুরি বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচন বোর্ডের সদস্য হিসেবে থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমান ও মো. আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশের যে গ্রামে চাইলেই চুক্তিতে বউসহ সব কিছুই ভাড়ায় পাওয়া যায়!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।