জুমবাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রেটিং এজেন্সি মুডিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের ঋণমান নির্ভর করছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর। দেশে স্থিতিশীল অবস্থা ফিরে আসলে ঋণমানের উন্নতি ঘটবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুডিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আগামীতে আরও বাড়লে ঋণমান কমে আসবে। তবে বর্তমান সরকার যদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে তাহলে ঋণমানের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায়।
তবে বর্তমানে দেশের অর্থনীতির যে পরিস্থিতি তাতে করে রেমিট্যান্স প্রবাহ ধীর গতিতে আগাবে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা এখনো বাংলাদেশে নিজেদের পুঁজি খাটাতে ভরসা পাচ্ছে না। বিনিয়োগে নিশ্চয়তা দিতে না পারলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মুডিস জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ শতাংশ হতে পারে। তবে প্রবৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আপাতত কোনো সুখবর বাংলাদেশ পাবে না। এদিকে যেভাবে ব্যবসা খাত একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছে তাতে করে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ঋণ শোধের পরিমাণ কমে যাবে। ঋণ শোধে অক্ষমতা বাড়লে খেলাপির পরিমাণও বাড়বে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে থেকেই ব্যাংকের তারল্য সংকট প্রবল ছিল। এরপর টানা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে মানুষের ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়ার প্রবণতা আরও বেড়েছে। এতে করে তারল্য সংকট আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দিয়েছিল বিশ্বের খ্যাতনামা ঋণমান বা ক্রেডিট রেটিং যাচাইকারী কোম্পানি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ঋণমান ‘বিবি মাইনাস’ থেকে কমিয়ে ‘বি প্লাস’ করেছে। দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে, সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের ঋণমান কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।