সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করেন। ভবন ভেঙে ফেলা থেকে শুরু করে পৃথিবীর পৃষ্ঠকে ভেঙে ফেলার মতো প্রাকৃতিক কারণ হতে পারে ভূমিকম্প। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ভয়ঙ্কর অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ভূমিকম্প উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আমাদের গ্রহ থেকে প্রায় ২৪০,০০০ মাইল দূরে থাকা চাঁদও একই ধরনের সমস্যার সাথে লড়াই করে, তবে স্পষ্টতই, এগুলিকে চাঁদের ভূমিকম্প বলা হয়। যেহেতু চাঁদে কেউ বাস করে, তাই চাঁদের মিকম্পগুলোও খুব বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে না। তবে চাঁদেও অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় যা কখনও কখনও পৃথিবীতে হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে ২০ গুণ বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে!
চীনের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ‘‘২০০৯ সাল থেকে চাঁদে ৪১টি নতুন ভূমিধস শনাক্ত করা হয়েছে। আর ভূমিকম্প হওয়ার কারণেই এসব ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।’’
২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে একটি গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কাজ করছে চীন। চীনের সান ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয়, ফুঝো বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংহাই নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে চাঁদের সবচেয়ে কম স্থিতিশীল অঞ্চলের ৭৪টি এলাকার তথ্য সংগ্রহ করেছেন তারা। এসব তথ্য ভবিষ্যতে চাঁদে গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের উপযুক্ত স্থান নির্বাচনে সাহায্য করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এর আগে অ্যাপোলো মিশনের সময়ে চাঁদে ভূমিকম্প শনাক্ত হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘‘চাঁদে ভূমিকম্প কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। এর ফলে চাঁদে যেকোনো কাঠামোর ক্ষতি বা আছড়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।’’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে নাসার গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদ বেশ নীরবে একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কোটি কোটি বছর ধরে চাঁদের আকারের কিছুটা সংকোচন হয়েছে।
সূত্র: সায়েন্স এবিসি এবং এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।