বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় সফলতা এলেও একের পর এক ইতিহাস গড়তে দেখা যাচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ কে। ইসরোর এই মহাকাশযান চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে এমন সফলতা অর্জনের রেকর্ড গড়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসাবে ভারত তেমন রেকর্ড তৈরি করেছে। আর এরই মধ্যে এবার নতুন একটি ইতিহাস গড়লো ভারতের চন্দ্রাভিযানের রোভার প্রজ্ঞান।
ইসরোর এই মহাকাশযান ইতিহাসে প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। সেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উপরিভাগ এবং মাটির নিচে তাপমাত্রা কত রয়েছে তা মেপে পাঠালো। চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীরে ঢুকে এইভাবে তাপমাত্রা পাঠানো এবং তাপমাত্রার ফারাকের যে গ্রাফ পাঠানো হয়েছে তা সত্যিই ভারতের কাছে বিশ্বের সামনে নতুন রেকর্ড। ইসরোর তরফ থেকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠ এবং তার উপর ও মাটির নিচে কত রয়েছে তাপমাত্রা।
ইসরোর তরফ থেকে এই বিষয়ে জানানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যেই একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, চেস্ট নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে চাঁদের মাটি পরীক্ষা করার জন্য। চাঁদের মাটিতে তাপমাত্রার তারতম্য খতিয়ে দেখার কাজ হল এই যন্ত্রটির। চন্দ্রপৃষ্ঠের ১০ সেন্টিমিটার গভীরে যেতে সক্ষম এই মেশিন। রোভার প্রজ্ঞানের এই মেশিন চাঁদের ১০ রকম তাপমাত্রা খতিয়ে দেখতে পারে।
সম্প্রতি চাঁদের তাপমাত্রা নিয়ে ইসরোর তরফ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ৪০ থেকে ৪৫° সেলসিয়াস। তবে মাটির গভীরে যতই ঢোকা যাবে ততই তাপমাত্রার মধ্যে বিস্তর ফারাক আসতে লক্ষ্য করা যাবে। প্রতি ২০ মিলিমিটার গভীরে আলাদা আলাদা তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাবে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ সেন্টিমিটার গভীরে গেলেই তাপমাত্রার পারদ কমে দাঁড়ায় মাইনাস ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এর আগে একাধিকবার একাধিক দেশের মহাকাশযান চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করলেও চাঁদের তাপমাত্রা নিয়ে এই প্রথম বিস্তারিত জানা গেল। চাঁদের তাপমাত্রা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এই প্রথম এইভাবে হাজির করলো ইসরোর চন্দ্রযান ৩। ১৪ দিন ধরে ভারতের এই মহাকাশযান চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন কি সকল তথ্য উঠে আসছে তাই এখন দেখার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।