আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে অবস্থানরত অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রায় চার লক্ষাধিক অভিবাসী নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়েছে। স্বেচ্ছায় তারা ফিরে গেছেন বলে মঙ্গলবার (১১ জুন) জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের।
তুরস্কের অভিবাসন দপ্তরের প্রধান আত্তিলা তোরোস মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় স্থানীয় দৈনিক হুরিয়েত ডেইলি নিউজকে বলেন, কোন প্রকার জবরদস্তি বা প্রত্যাবাসন আদেশ ছাড়াই চার লাখেরও বেশি অনিয়মিত অভিবাসী তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
ওই সময় আঙ্কারায় মোবাইল মাইগ্রেশন ইউনিটের বিশেষ অভিযান পর্যবেক্ষণ করছিলেন তিনি। তুরস্কজুড়ে অভিবাসীদের রেসিডেন্ট পারমিট চেক করে এই ইউনিটের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা নিযুক্ত থাকেন। অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে কাউকে সন্দেহ হলে তাদের পরিচয় পত্র ও নথি যাচাই করে।
যেসব অভিবাসীদের সনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়না করতে তাদেরকে মোবাইল ইউনিটের গাড়িতে তোলা হয়।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও দোভাষীদের মাধ্যমে সনাক্তের করা হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের আঙুলের ছাপ নিয়ে সরকারি ডাটাবেসের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করা হয়। যদি একজন ব্যক্তিকে বৈধ রেসিডেন্স পারমিট ছাড়া পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বহিষ্কার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
আত্তিলা তোরেসের মতে, এই প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ইস্তাম্বুল থেকে শুরু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তুরস্কের ৫৯টি শহরে এটি চালু আছে। এই মোবাইল ইউনিটগুলো অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াশীল।
তিনি ব্যখ্যা করেন, ‘অনিয়মিত অভিবাসীরা যেমন সর্বত্র বিচরণ করছে তেমনি আমাদের ইউনিটগুলোও তাদের টহল বাড়িয়েছে। আমাদের অভিযানের নাগাল বাড়ানো হয়েছে যা আমাদের কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করছে। এই মোবাইল ইউনিটগুলো বিভিন্ন এলাকায় দৈনিক ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে। আমরা আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে তুরস্কের ৮১টি প্রদেশকে মোবাইল মাইগ্রেশন মনিটরিং গাড়ি দিয়ে সজ্জিত করা হবে।’
এই কর্মকর্তার মতে, এই ইউনিটগুলোর অভিযানের প্রভাবের কারণে ২০২৩ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মোট চার লাখ এক হাজার ৩২৫ জন অনিয়মিত অভিবাসী স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
এছাড়া ২০২৩ সালের পুরো সময়ে মোট এক লাখ ৪১ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে জোরপূর্বক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান আত্তিলা তোরোস।
বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসীর দেশ হিসেবে পরিচিত তুরস্ক। যাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার নাগরিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।