জুমবাংলা ডেস্ক : একই আইএমইআই নম্বরের দেড় লাখের বেশি হ্যান্ডসেট পাওয়া গেছে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে। নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে গ্রাহকের হাতে চলে গেছে এসব অবৈধ মোবাইল ফোন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে এক অনুষ্ঠানে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য তুলে ধরেন মোবাইল অপারেটররা। অনুষ্ঠানে লাগেজ-ব্যাগেজে আনা করফাঁকির ফোনের বাজারজাত বন্ধ না হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা।
হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা জানান, হ্যান্ডসেট সংযোজনে বর্তমানে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইল ফোনের দখলে। এতে বছরে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচারফোন মিলিয়ে ৪০ লাখ উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর মোতালেব প্লাজা, গুলিস্তান পাতাল মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ নামি-দামি মার্কেটে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে করফাঁকির ফোন।
আর এসব বন্ধে অভিযান জোরদারের কথা জানালেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দাওয়াত দেয়ার পরও এনবিআরের প্রতিনিধি না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উদ্যোক্তারা। বাধ্য হয়ে এরপর থেকে যেকোনো অনুষ্ঠানে এনবিআরকে নিজেই দাওয়াত দেবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।