জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে লাল সোনা খ্যাত মসলা জাতীয় ফসল মরিচ। তবে গত বছরের তুলনায় জেলায় চাষের আবাদ বাড়লেও এবার ফলন এসেছে খুবই কম।
স্থানীয়রা বলছেন, তাপপ্রবাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হয়েছে। এদিকে শুকনো মরিচ বাজারে তুললেও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দাম নিয়ে সিন্ডিকেট করার অভিযোগ রয়েছে চাষিদের।
জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার মাটি মরিচ আবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় জেলায় সাত জাতের মরিচ চাষ হয়ে থাকে। সব থেকে বেশি চাষ হচ্ছে হটমাস্টার, বালু ঝড়ি ও বিন্দু জাতের মরিচ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সরেজমিনে জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাঠ থেকে কাঁচা মরিচ তুলে এবং তা মাঠে শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে মরিচ চাষিরা। একই চিত্র অন্যান্য এলাকাতেও।
মির্জাপুর এলাকার মরিচ চাষি নজরুল ইসলাম ও আনোয়ারুল বলেন, গত বছর মরিচ চাষ করে লাভ হওয়ায় এবার জমির পরিমাণ বাড়িয়েছি। তবে জমি বাড়লেও ফলন কম এসেছে। আলমগীর ইসলাম নামে আরেকজন চাষি বলেন, আবাদ বাড়ালেও বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র তাপের কারণে এবার ফলন অনেক কম হয়েছে। অন্যদিকে শুকিয়ে বাজারে তোলার পর গত বছরের থেকে অনেক কম দাম পাচ্ছি। এতে আমাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।
চাষিদের অভিযোগ, গত বছরে মণ প্রতি ১৪ হাজার টাকায় মরিচ বিক্রি হলেও চলতি মৌসুমে তা চার হাজার টাকা কমে আট হাজারে নেমে এসেছে। বাজারে তোলার পর দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের শিকার হচ্ছেন তারা।
আটোয়ারী বাজারে শুকনো মরিচ বিক্রি করতে আসা আবু বক্কর নামে এক চাষি বলেন, শুকনো মরিচের চাহিদা অনেক। এর মধ্যে আমরা বাজারে শুকনো মরিচ এনে বিপাকে পড়েছি। ব্যবসায়ীরা দাম অনেক কম দিচ্ছে। তারা সিন্ডিকেট শুরু করেছে।
তবে মরিচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে চাহিদা কম থাকায় দাম কম যাচ্ছে। একই সঙ্গে মরিচের মান ও অজনে কম হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজার ভালো যাচ্ছে।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, গত মৌসুমে পঞ্চগড় জেলায় আট হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হলেও এবার আট হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এসব জমি থেকে চলতি মৌসুমে প্রায় ২৩ হাজার ৯৭৬ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এবার জেলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার শুকনো মরিচ বিক্রি হবে।
অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে দুর্দান্ত সাহসী দৃশ্য, বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না এই ওয়েব সিরিজ
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, মরিচ বিক্রিসহ চাষিদের ভালো ফলন উৎপাদনে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।