আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেশী মোরগ দিনে ২০০ বার ডাকে। এর জের ধরে জার্মানির এক দম্পতি প্রতিবেশীকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন। কারণ মোরগের ডাক তাঁরা আর সহ্য করতে পারছিলেন না। ৭৬ বছর বয়সী ফ্রেডরিখ-উইলহেলম এবং তার স্ত্রী জুটা, পশ্চিম জার্মানির ব্যাড সালজুফ্লেনের এক দম্পতি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে শান্তিতে দিন কাটাতে পারেনি তাদের প্রতিবেশীর মোরগ ‘মাগদা’র কারণে।
এসব কারণে ফ্রেডরিখ এবং জুট্টা সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের প্রতিবেশীকে আদালতে নিয়ে গেছেন। ফ্রেডরিখ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী তাদের মোরগ ছেড়ে দেয় না, এর ফলে এর সঙ্গেই আমাদের থাকতে হয়। যেভাবেই হোক আমাদের আদালতে জিততেই হবে। আমরা বাগানটিও ব্যবহার করতে পারি না। কোনো জানালাও খুলতে পারি না। এটা অসহ্য।
‘নির্যাতন সম্পর্কে কথা বলা কঠিন, তবে নির্যাতনটা এমনই’- তার স্ত্রী জুট্টা যোগ করে বলেছেন। এই দম্পতির আইনজীবী, টর্স্টেন গিসেকে যুক্তি দিয়েছিলেন যে মাগদার মতো একটি অতি-সক্রিয় মোরগ শান্ত হাউজিং এস্টেটের অন্তর্গত হতে পারে না। তিনি যোগ করেছেন, মাগদার অবিরাম ডাক সহ্য করতে না পেরে আরো একটি পরিবার দুই বছর আগে এই এলাকা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
ফ্রেডরিখ এবং জুট্টা আদালতে প্রমাণ হিসেবে ম্যাগদার প্রতিদিনের ডাক রেকর্ড করা শুরু করেছেন। ম্যাগদার মালিকের সঙ্গ যুক্তি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁরা এই আইনি পদক্ষেপ নেন। এ ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
এদিকে ম্যাগদার মালিক মাইকেল ডি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মোরগটি তাঁর মুরগির পাল সামলাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুরগিদের পালে শৃঙ্খলাও বজায় রাখে। জার্মানির লেমগো জেলা আদালতের বিচারক শীঘ্রই ফ্রেডরিখ এবং জুট্টার মামলার শুনানি করবেন এবং ম্যাগদার ভাগ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রায় দেবেন।
সূত্র : টপ নিউজ ২৪, অডিটি সেন্ট্রাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।