লাইফস্টাইল ডেস্ক : বেড়েছে শীত, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উপদ্রপ। মশা একটি ছোট প্রাণী হলেও, এটি খুব বিপজ্জনক। মশার কামড়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, এনকেফেলাইটিস, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ আরো অনেক রোগবালাই দেখা দেয়। এমনকি অনেক মানুষের মৃত্যুর কারণও এই মশা। কারণ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অনেক রোগীই ইতমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।
নিশ্চয়ই জানেন, মশা সব মানুষকেই কামড়ায়। তবে কিছু কিছু মানুষকে মশা তুলনামূলক বেশি কামড়ায়। দেখা যায়, অনেক মানুষ একসঙ্গে আড্ডা দেয়া সত্যেও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বেছে বেছে মশারা ছেঁকে ধরে! কেন এমনটা হয়, মশা কি তাহলে লোক বুঝে কামড়ায়? চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
কার্বন ডাই-অক্সাইড
কোনো জায়গা থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি বের হচ্ছে তা মশারা সহজেই বুঝতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রজাতির মশারা কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রতি পৃথক ভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। ফলে কোনো ব্যক্তির দেহ থেকে বেশি মাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হলে মশারা দূর থেকেই তা বুঝে যায়। শিকার কাছাকাছিই আছে বুঝে সুযোগ পেলেই কামড়াতে থাকে।
মশাদের প্রিয় রঙ
মশাদের কালো রঙের প্রতি বেশি আকর্ষিত হতে দেখা গিয়েছে। এই কারণেই কালো জামাকাপড় পড়লে মশারা ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ করে। কিন্তু মশারা কালো রঙের প্রতি কেন এমন আক্রোশ দেখায় সেটা স্পষ্টভাবে এখনো জানা যায়নি।
মদ্যপায়ীদের প্রতি আকর্ষণ
যারা নিয়মিত মদ পান করেন মশা তাদের বেশি কামড়ায়। ২০০২ সালে করা এক ছোট্ট সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপায়ীদের প্রতি মশারা বেশি আকর্ষিত হয়। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে মদ পান করা থেকে বিরত থাকুন। এতে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
গর্ভবতীদের বেশি কামড়ায়
সন্তানসম্ভবা নন এমন নারীর তুলনায় গর্ভবতী নারীদের বেশি মশা কামড়ায়। আর ভিন্ন একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দুটি বিশেষ প্রজাতির মশা কপালে আর পায়ে কামড় দিতে বেশি পছন্দ করে। সম্ভবত ঘর্মগ্রন্থি, ত্বকের গন্ধ ও তাপমাত্রাই এমন বিশেষ পছন্দের কারণ।
শরীরের গন্ধ
প্রত্যেক মানুষের ত্বকে ও ঘামে ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং অ্যামোনিয়ার মতো বিশেষ কিছু যৌগ থাকে। এই যৌগগুলো আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট ধরনের গন্ধ তৈরি করে। সেই গন্ধের প্রতি মশারা আকর্ষিত হয়। কিছু গবেষকের মতে এমন আলাদা গন্ধ তৈরি হওয়ার পেছনে দায়ী থাকতে পারে জিন ও ব্যাকটেরিয়া।
জলীয়বাষ্প ও তাপমাত্রা
আমাদের শরীর থেকে জলীয়বাষ্প ও তাপ বের হয়। অবশ্য কতটা মাত্রায় জলীয়বাষ্প বের হয়, তা নির্ভর করে পরিবেশের তাপমাত্রার উপর। মশা উড়তে উড়তে যত মানব দেহের কাছাকাছি আসে ততই তারা শরীর থেকে কেমন মাত্রায় তাপ ও জলীয়বাষ্প বের হচ্ছে তা নির্ণয় করতে পারে। তাপ ও জলীয়বাষ্প মশাকে কামড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।