লাইফস্টাইল ডেস্ক : এদেশে এমন বহু হোটেল আছে যেগুলোকে বাইরে থেকে দেখলে কিছুই বোঝা যায়না, এমনকি ভিতরের সৌন্দর্যও চোখে পড়ার মতো। যত বিপদ রাত বাড়ার পর থেকেই শুরু হয়। চারপাশের পরিবেশ যেনো ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠতে থাকে। আপনার রাতের ঘুম উড়ে যাবে, তখন মনে হবে কতক্ষনে পালিয়ে আসবো। নিশ্চয়ই ভাবছেন সিনেমার গল্প করছি একেবারেই কিন্তু তেমনটা নয়। ভারতের কিছু বিখ্যাত হোটেলে রাত কাটালে আপনার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হতে বাধ্য।
ভারতবর্ষে ঘোরার জায়গার কিন্তু কোন অভাব নেই। পর্যটকরা নিজেদের ইচ্ছামত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে পারে, সেই জন্য এখানে হোটেলের পরিমাণও প্রচুর। পাহাড় থেকে সমুদ্র কিংবা জঙ্গল সব জায়গাতেই বিলাসবহুল হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে। যেসব জিনিস বাড়িতেও পাওয়া যায় না হোটেলে গেলে আপনি সহজেই তা পেয়ে যাবেন। নানারকম লোভনীয় খাবার থেকে শুরু করে সবকিছুই হাতের মুঠোয় চলে আসে। বিলাসিতার এত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু হোটেল এমন আছে যেখানে রাত কাটানো কখনোই নিরাপদ নয়। অনেকেই বলেছে এইসব হোটেলে নাকি ঘটে বিভিন্ন ভৌতিক ঘটনা যা সত্যিই মানুষকে চমকে দেয়।
প্রথমেই তালিকায় আছে মর্গান হাউসের নাম। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই হোটেলটি অবস্থিত কালিপং শহরে। হোটেলটিতে গেলেই আপনি বুঝতে পারবেন পুরনো আভিজাত্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক এই হোটেল। তবে পর্যটকদের অনেকেরই ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে এই হোটেলে এসে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে, লেডি মর্গানের অতৃপ্ত আত্মা এখনও ঘুরে বেড়ান এই হোটেল দিয়ে এবং সেই কারণে এখানে রাত কাটানোর কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে চায় না। অনেকেই শুধুমাত্র ভূত খোঁজার জন্যই এই হোটেলে আসেন। আবার অনেকেই এই ভূতের ঘটনা স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দেন।
এরপরে যে হোটেলটির নাম করা হবে সেটি হল রাজস্থানের ব্রিজরাজ হোটেল। ১৭৮ বছরের পুরনো এই হোটেলটিতে ভূত থাকাই স্বাভাবিক ঘটনা। শোনা যায় এখানে কোন এক ব্রিটিশ কর্তা থাকতেন, সিপাহী বিদ্রোহের সময় তার গোটা পরিবারকে এই বাড়িতে হত্যা করা হয়েছিল। এখনো তাদের অতৃপ্ত আত্মা এখানেই আছে এবং সেই কারণে এই হোটেলে রাত কাটানোর সাহস বোধহয় কারোর নেই।
এরপর আলোচনা করা হবে দক্ষিণ ভারতের একটি হোটেলের কথা। উটিতে অবস্থিত এই হোটেলের নাম হল হোটেল ফার্ন হিল। বহু হিন্দি সিনেমার শুটিং হয়েছিল এই হোটেলে, সেই কারণে সিনেমার কলাকুশলীরা বিভিন্ন রকম ভৌতিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল। বহু বিখ্যাত তারকারা তার সাক্ষী। তাই এখানে কেউ বর্তমানে শুটিং করতে চায় না।
উটি শহরের আরেকটি হোটেল সম্পর্কেও এরকম তথ্য পাওয়া গেছে। হোটেল লেক ভিউ-এর ক্ষেত্রেও একই কথা শোনা যায়। রাত বাড়লেই শোনা যায় নানা রকম কান্নার আওয়াজ যা সত্যি ভয়ংকর। মুম্বাইয়ের বেশ কিছু হোটেলও তালিকা থেকে বাদ যায়নি। তাজ হোটেলের সাথে জড়িয়ে আছে নানারকম ভৌতিক ঘটনা। তবে ভূতের সন্ধান এখন অবধি কেউ পাননি। তাই চাইলেই এখানে যে কেউ রাত কাটাতে পারেন। তবে এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলো আপনার কাছে সতর্কবার্তার কাজ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।