জুমবাংলা ডেস্ক : ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ‘আগামী দু’বছরের মধ্যে আধুনিক ও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ভূমি সেবা হটলাইন ১৬১২২ চালু হয়েছে। ভূ-স্বত্বের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে মামলা-মোকদ্দমায় জড়িত।’
রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর ডেমরা করিম জুট মিলস লি. মিলনায়তনে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের আয়োজিত চল্লিশ দিন ব্যাপী ১৩৬তম সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আশাবাদ ব্যক্ত করে সিনিয়র সচিব আরও বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞানের মাধ্যমে কর্মকর্তাগণ ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার পাশাপাশি দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।’
ভূমি সচিব বলেন, ‘মানব সভ্যতার সূচনালগ্নেই মানুষের কাছে প্রধান নির্ভরযোগ্য ও মূল্যবান সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে ‘ভূমি’। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মানুষের জীবন ধারণের জন্য মৌলিক চাহিদার প্রায় সবগুলোই ভূমি হতে পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বে ভূমি, ভূমির ব্যবহার ও ভূমি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রায় প্রতিটি বিষয় যেমন: রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, জাতীয় উন্নয়ন, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কৃষি ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠী সম্বলিত এ ছোট দেশের সীমিত ভূ-সম্পদ এবং তার ওপর জনসাধারণের প্রচণ্ড চাপ ও চাহিদা দেশের ভূমি সম্পদকে করেছে আরও বেশি মূল্যবান।’
এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, ‘কোনো ‘দেশ’ বা ‘জাতি’ ভূমির কতটা যত্ন নিচ্ছে সেটা বোঝা যায় দেশের ভূমির ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠুতা, ভূমি প্রশাসনের দক্ষতা ও ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে। আর বিষয়গুলো সুনিশ্চিত করার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন হচ্ছে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একপ্রস্থ স্বত্বলিপি এবং তার সুষ্ঠু সংরক্ষণ। যারা জনপ্রশাসনের সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে যারা মাটি ও মানুষ নিয়ে কাজ করেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও বিচার কাজে নিয়োজিত তাদের ভূমি প্রশাসন সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণা থাকার জন্য তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ জ্ঞানার্জন অপরিহার্য।’
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহ. মনিরুজ্জামান, মো. আবু বকর ছিদ্দিক, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও অধিদফতরের পরিচালক মো. মোমিনুর রশীদ। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিসিএস (প্রশাসন) বিসিএস (পুলিশ), বিসিএস (বন) ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৬৭ কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর প্রতি বছর বিসিএস ক্যাডারভুক্ত (প্রশাসন, পুলিশ, বন ও রেলওয়ে) এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তাগণের সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। পুরাতন ঐতিহ্যের ধারা অনুসারে প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাগণ ক্যাম্পে তাঁবুতে অবস্থান করেন। প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাগণ প্রতিদিন শ্রেণি কক্ষে আইন-কানুন বিষয়ক তাত্ত্বিক শিক্ষাগ্রহণ শেষে পরদিন মাঠে ম্যাপ প্রণয়ন বিষয়ক ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।