জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইল কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে নাদীয়া জাহান শেলী (৪৫) নামে এক নারী কয়েদীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল নাদীয়ার স্বামী মো. মিনহাজ উদ্দিন বাদি হয়ে জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডেপুটি জেলারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মিনহাজ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শালগ্রামপুরের মো. আক্কাছ আলীর ছেলে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মায়ের মৃত্যুর বিচার চাইলো পাঁচ বছরের যমজ দুই ভাই ও বোন। গত ৮ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল কারাগারে মা নাদীয়া জাহানের মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মামলা চলছিল। মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যমজ ভাই হাসান ও হোসাইন এবং বোন সোনালী আক্তার এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
মিনহাজ উদ্দিনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তার মেয়ে সোনালী আক্তার বলেন, ‘আমার মা নাদীয় জাহান শেলী ডায়াবেটিক ও কিডনী রোগে আক্রান্ত ছিল। গত ৪ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় একটি মামলায় সখীপুর আমলী আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি জামিন প্রার্থনা করেন। এ সময় আদালতে শারীরিক অসুস্থতার প্রতিবেদন দাখিল করলেও বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। তবে নাদীয়া জাহান শেলী অসুস্থ হওয়ায় তার সুচিকিৎসার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডেপুটি জেলারসহ দয়িত্বরত অন্যান্যরা মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে সাধারণ কয়েদী হিসেবে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখে। চিকিৎসার অভাবে গত ৮ এপ্রিল রাতে সে মারা যায়।’
হাসান ও হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার মা খুব অসুস্থ ছিল। তারপরও জেল সুপার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। জেল সুপার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নাদীয়া জাহান শেলীকে কারাগারে সুচিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। লাশ নেওয়ার সময় পরিবারের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ সুপার নিজে বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানান মামুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।