আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইরানের নারী অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে লড়াই করা নার্গিস মোহাম্মাদি। প্রতিবারের মতো এবারও ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের অসলোতে তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ইরানের কারাগারে বন্দি থাকায় পুরস্কার নিতে আসতে পারছেন না। তার হয়ে তার সন্তানেরা পুরস্কারটি গ্রহণ করবেন। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স জানিয়েছে, নার্গিসের ১৭ বছর বয়সী দুই যমজ ছেলেমেয়ে তার হয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করতে আসবে। পুরস্কার গ্রহণের সময় মায়ের দেওয়া একটি বক্তব্য পড়ে শোনাবে তারা।
২০১৫ সাল থেকে ফ্রান্সে নির্বাসিত জীবনযাপন করছে নোবেলজয়ী নার্গিসের দুই জমজ সন্তান আলী ও কিয়ানা রহমানি। প্রায় ৯ বছর ধরে তারা তাদের মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারছে না। আদৌ মায়ের দেখা পাবে কি না, তা-ও জানে না তারা।
তাদের মনে এখন বড় ভয়, মায়ের সঙ্গে হয়তো আর কখনও দেখা করতে পারবে না তারা। তবে মায়ের ত্যাগ আর অর্জনে তারা গর্বিত বলে জানিয়েছে।
৫১ বছর বয়সী মোহাম্মদী তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে একাধিক সাজা ভোগ করছেন। এই সপ্তাহে সুইডিশ সম্প্রচারকারী এসভিটিতে কারাগার থেকে পাঠানো নার্গিসের একটি চিঠি প্রচার করা হয়। চিঠিতে তিনি বলেছেন, জীবন দিয়ে হলেও তিনি মানবাধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি তার সন্তানদের সবচেয়ে বেশি মিস করছেন বলেও উল্লেখ করেছেন।
দুই সন্তানের মধ্যে কিয়ানা রহমানি আট বছর আগে শেষবার মাকে দেখেছিলেন। সে বলেছে, ‘সম্ভবত আমি মাকে ৩০ বা ৪০ বছরের মধ্যে দেখতে পাব, কিন্তু মনে হচ্ছে তার সঙ্গে হয়তো আর দেখা হবে না। কিন্তু এটা কোন ব্যাপার না কারণ আমার মা সবসময় আমার হৃদয়ে এবং আমার পরিবারের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’
১৯তম নারী হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন নার্গিস। এর মূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রেনা বা ১০ লাখ ডলার। বন্দী অবস্থায় নোবেলজয়ী পঞ্চম ব্যক্তিও তিনি৷
প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।