বিনোদন ডেস্ক : ১০ হাজার টাকার কম দামে এই ফোন কেমন পারফর্ম করল Moto e22s? ডিসপ্লে ছাড়া এই ফোনে আর কী কী ভালো? কেমন ব্যাক আপ পাবেন?। ১০ হাজার টাকার কম দামের এই ফোনে রয়েছে হোল পাঞ্চ ডিজাইনের ডিসপ্লে। এতদিন ১৫ হাজার টাকার বেশি দামের ফোনে এই ডিসপ্লে দেখা গেলেও এবার বাজেট সেগমেন্টেও এই প্রিমিয়াম ডিসপ্লে পাবেন। প্রসঙ্গত এটাই কোম্পানির সবথেকে সস্তার মোবাইল। কিন্তু বাজেট সেগমেন্টে এখন আরও অনেক দুর্দান্ত ফিচারের ফোন রয়েছে। সেই সব প্রতিযোগীকে মাত দিতে পারল এই ফোন?
Moto e22s -তে চলবে Android 12 অপারেটিং সিস্টেম। এই ফোনে থাকছে 6.5 ইঞ্চি HD+ LCD IPS ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লেতে 90 Hz রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে। ফোনের ভিতরে থাকছে MediaTek Helio G37 চিপসেট। সেখানে 2.3 GHz অক্টা-কোর প্রসেসর থাকছে। প্রসেসরে রয়েছে HyperEngine প্রযুক্তি। Motorola-র দাবি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন বেশি রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে অন্যদিকে নেটওয়ার্ক কানেকশনে উন্নতি হবে। একই সঙ্গে ফোনে মিলবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ভালো পাওয়ার এফিসিয়েন্সি। Moto e22s -এ থাকছে 16 MP AI ক্যামেরা।
এই ফোনে রয়েছে 4 GB RAM ও 64 GB স্টোরেজ। যদিও 1 TB পর্যন্ত microSD কার্ড সাপোর্ট দিয়েছে Motorola। রয়েছে 5,000 mAh ব্যাটারি। সঙ্গে পাবেন 10 W চার্জিং সাপোর্ট। কানেক্টিভিটির জন্য এই ফোনে ডুয়াল 4G সাপোর্ট থাকছে। এছাড়াও Bluetooth v5.0, 2.4GHz ও 5GHz ডুয়াল Wi-Fi থাকছে। সুরক্ষার জন্য রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ফেস আনলক।
Motorola-র অন্যান্য ফোনের মতো ডিজাইন পাবেন Moto e22s -এ। কালো ও নীল রঙে এই ফোন কেনা যাবে। তবে ফোন ব্যবহারের সময় সহজেই পিছনে আঙুলের ছাপ দেখা যাবে। তাই কেস ব্যবহার করলে সুবিধা হবে। এই ফোনের ডিসপ্লেতে পাবেন 90 Hz রিফ্রেশ রেট। থাকছে 6.5 ইঞ্চি HD+ IPS LCD ডিসপ্লে। 500 nits ব্রাইটনেসের কারণে দিনের আলোতে এই ফোন ব্যবহারে সমস্যা হবে। যদিও 90 Hz রিফ্রেশ রেটের কারণে এই ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা মসৃণ হবে। WideVine L1 সার্টিফিকেশনের কারণে এই ফোনে Netflix, Amazon Prime থেকে HD কনটেন্ট স্ট্রিম করতে পারবেন।
Moto e22s – তে MediaTek Helio G37 চিপসেট দিয়েছে Motorola। সঙ্গে রয়েছে 4 GB RAM ও 64 GB স্টোরেজ। রোজের ব্যবহারে এই ফোন স্লো হবে না। বার বার অ্যাপ বদল করতে পারবেন সহজেই। তবে 4 GB RAM হওয়ার কারণে কিছু ক্ষেত্রে অ্যাপ ওপেন করলে তা ফের লোড হতে দেখা গিয়েছে। এই ফোন রিভিউয়ের সময় গেম খেলার চেষ্টা করেছি আমরা। গেমিং ফোন না হলেও Need for Speed Most Wanted – এর মতো হাই গ্রাফিক্স গেম সহজেই সামলেছে Moto e22s।
এই ফোনে সিঙ্গেল মনো স্পিকার দিয়েছে Motorola। থাকছে 3.5 mm হেডফোন জ্যাক। পাবেন ডুয়াল SIM ও microSD কার্ড সাপোর্ট। 1 TB পর্যন্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই ফোনে Android 12 অপারেটিং সিস্টেমের উপরে চলবে MyUX স্কিন। মিলবে Stock Android ব্যবহারের অভিজ্ঞতা।
16 MP প্রাইমারি ক্যামেরা থাকলেও খুব ভালো ছবি উঠবে না এই ফোনে। তবে প্রাইমারি ক্যামেরায় ছবি তোলার সময় দ্রুত ফোকাস করা যাবে। এছাড়াও ক্যামেরার মধ্যেই ব্যবহার করা যাবে Google Lens। এছাড়াও ডুয়াল ক্যাপচার মোড দিয়েছে Motorola। এই ফোনের ক্যামেরায় ডুয়াল ক্যাপচার মোড রয়েছে। অর্থাৎ সামনে ও পিছনের ক্যামেরা ব্যবহার করে একই সঙ্গে ভিডিয়ো রেকর্ড ও ছবি তোলা যাবে। এছাড়াও Motorola -র সস্তার ফোনে রয়েছে Time Lapse, Dual Capture, Face Beauty, Live Filter, Panorama, Pro Mode, Night Vision, Portrait মোড ও HDR সাপোর্ট। 8 MP সেলফি ক্যামেরায় ভালো ডিটেল পাওয়া গেলেও স্কিন টোনে সমস্যা রয়েছে।
ছবিটি জুম করে কুকুরের দেহটি খুঁজুন, বেশিরভাগ মানুষ ভুল উত্তর দেন
এই ফোনের অন্যতম প্রধান শক্তি ব্যাটারি। Motorola – র দুর্দান্ত ইউজার ইন্টারফেসের কারণে খুব সহজেই দেড় দিন ব্যাক আপ পাবেন এই ফোনে। রয়েছে 5,000 mAh ব্যাটারি। তবে ডিসপ্লে সেটিংসে 90 Hz রিফ্রেশ রেট অপশন বন্ধ করে রাখলে আরও লম্বা ব্যাক আপ মিলবে। তবে 10 W চার্জিংয়ের কারণে এই ফোন চার্জ হতে বেশি সময় লাগবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।