জুমবাংলা ডেস্ক : ইউটিউব ভিডিও দেখে মোটরসাইকেল চুরির কৌশল রপ্ত করেছিল দুই যুবক। কিন্তু প্রথম চেষ্টাতেই ধরা পড়ে গেল জনতার হাতে। ধরা পড়ার পর তারা কান্নাকাটি করে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের পেছনে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয়রা চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে দুই যুবককে।
ধরা পড়া দুই চোর হলো ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড় গড়িলা গ্রামের বাসিন্দা। তাদের একজন ফেটু মিয়ার ছেলে রাসকেল হোসেন (২০), যিনি কালীগঞ্জের সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। অন্যজন আব্দুর রশিদের ছেলে মিজান হোসেন, পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরির জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের চাবি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, ওই দিন বিকেলে দারুস শেফা হাসপাতালের পেছনে রাখা একটি লাল অ্যাপাচি মোটরসাইকেলের স্টিয়ারিং লক ভেঙে ফেলে তারা। তবে হাইড্রলিক লক ভাঙার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং তারা দুই যুবককে ধরে ফেলে। পরে দড়ি দিয়ে বেঁধে মাথার চুল কেটে দেয় উত্তেজিত জনতা। এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
চুরির ঘটনায় জড়িত মিজান জানান, “এই প্রথম মোটরসাইকেল চুরি করতে এসেছি। এর আগে কোনোদিন চুরি করিনি। ইউটিউব দেখে শিখেছিলাম কিভাবে চুরি করতে হয়।”
মোটরসাইকেলের মালিক সরকারি ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি মোটরসাইকেল রেখে পাশে কাজ করছিলাম। ফিরে এসে দেখি স্টিয়ারিং লক ভাঙা। এরপর স্থানীয়দের কাছে শুনি দুই চোরকে ধরা হয়েছে।”
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “স্থানীয়রা দুই চোরকে ধরে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।