জুমবাংলা ডেস্ক : জাপানের মাউন্ট ফুজিতে চলতি মৌসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে এই তুষারপাত শুরু হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। সাধারণত নভেম্বরের অনেক আগেই মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাত দেখা দেয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ও অস্বাভাবিক উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে গত ১৩০ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে দেরিতে তুষারপাত দেখা দিয়েছে।
প্রতি বছর মাউন্ট ফুজির তুষারে ঢেকে যাওয়ার ঘটনা সরকারিভাবে ঘোষণা করে কোফুর স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জাপানি সংবাদপত্র আসাহি শিম্বুনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে মাউন্ট ফুজির শিখর তুষারে ঢেকে যায়। আবহাওয়া অফিস বলছে, উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ের পরে মাউন্ট ফুজির শিখর তুষারে ঢেকেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে শিযুওকা ও ইয়ামানাশি অঞ্চলের ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু পর্বতের চূড়ায় তাপমাত্রা মাইনাস ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এর আগে বুধবার কিছু স্থান থেকে তুষারপাত দেখা গেছে। কিন্তু মেঘের কারণে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় তুষারপাত নিশ্চিত করতে পারেনি ইয়ামানাশির দিকের কোফু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গত অক্টোবরে পর্বতচূড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে। সাধারণত মাউন্ট ফুজিতে প্রথম তুষারপাত ২ অক্টোবর হয়ে থাকে। তবে ২০২৩ সালের রেকর্ডে প্রথম তুষারপাত ৫ অক্টোবর হতে দেখা গেছে। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। উষ্ণতার পারদ এতটাই বেড়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝিতেও মাউন্ট ফুজিতে তুষার দেখা যাবে কি-না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন আবহাওয়াবিদেরা। তবে শেষ পর্যন্ত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষে এসে মাউন্ট ফুটির শিখরে দেখা মিলল বরফের।
মাউন্ট ফুজি জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হনশু দ্বীপে অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে সৌন্দর্যময় এই পর্বতশৃঙ্গের উচ্চতা ১২ হাজার ৩৮৯ ফুট। জাপানিদের কাছে এটি শুধু একটি পর্বত নয়; জাতীয় ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীকও। দর্শনীয় এই স্থানকে ২০১২ সালে জাপানের ১১তম বিশ্ব হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। প্রতি বছরই বহু পর্যটক সেখানে বেড়াতে যান। দুর্গম পথ ধরে হেঁটে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।