জুমবাংলা ডেস্ক : ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা সিরাজগঞ্জের জনপদ। সেই সঙ্গে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে যমুনাপাড়ের মানুষ। জেলায় তিনদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। এতে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ায় সব সময়ই তীব্র শীত অনুভূত হয়। এছাড়া, দিনের অধিকাংশ সময় দেখা মেলে না সূর্যের। এমন আবহাওয়া আরও দু-একদিন থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, ঘন কুয়াশায় চারপাশ আচ্ছাদিত থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কসহ জেলার সব সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে চালকদের।
অটোরিকশা চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, সারাদিন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু তীব্র শীতের কারণে বেগ পেতে হচ্ছে। পেট তো আর শীত মানে না। কাজ না করলে খাব কি।
আব্দুল আলিম নামের আরেক চালক বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যায় না। তখন খুব ভয় করে। এই বুঝি কোনো গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যাবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তবে সূর্যেরে আলো বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি চলাচল করে।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আজ। আবহাওয়ায় উচ্চচাপ বলয়ের কারণে কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। জানুয়ারি মাস জুড়েই শীত ও কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।