বিনোদন ডেস্ক : এই মুহূর্তে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।র মঙ্গলবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ED সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২৯ কোটির কাছাকাছি নগদ টাকা বিদেশি মুদ্রা ও সোনার গয়না। শুধু টাকা নয় অর্পিতাপ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুটি সে. ক্স টয়ও। কিন্তু জানেন কি অভিনেত্রী হিসেবে ছবি পিছু কত টাকা পেতেন অর্পিতা?
গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে একটাই নাম অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে মিলেছে রাশি রাশি টাকা। শনিবার অর্পিতার টালিগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ কোটি। তারপর মঙ্গলবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ED সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২৯ কোটির কাছাকাছি নগদ টাকা বিদেশি মুদ্রা ও সোনার গয়না। শুধু টাকা নয় অর্পিতাপ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুটি সে. ক্স টয়ও। ED সূত্রে খবর, একটি নয়, বরং দু’টি সে. ক্স টয় পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে।
বুধবার সন্ধ্যায় Arpita Mukherjee -র উত্তর ২৪ পরগণার ওই বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন Enforcement Directorate -এর আধিকারিকেরা। ওই ফ্ল্যাটের বিভিন্ন ওয়ার্ড্রব খুলতেই উদ্ধার হয় রাশি রাশি টাকা।
জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি দু’টি সে. ক্স টয়ও বেরিয়ে আসে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আলমারি থেকে। কিন্তু যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে এত কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর পারিশ্রমিক কত টাকা ছিলেন জানেন?
অর্পিতার ছবির পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত বলেন, “সত্যি বলতে কখনও ওকে সেভাবে দেখিনি। এমনকী টাকা পয়সা নিয়ে কখনও জোরাজুরি করতে দেখনি। লোভ ছিল না। এখন খবর দেখে আমি চমক যাচ্ছি আমার সত্যি বলতে খারাপও লাগছে।”
অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের বাবা অনুপ সেনগুপ্তেরসঙ্গে তিনটি ছবি করেন অর্পিতামুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন মামা ভাগ্নে ছবিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ১৫ হাজার টাকা। তারপর বাংলা বাঁচাও ছবিতে পান ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। রাজনন্দিনী ছবির জন্য পান ২০ হাজার টাকা। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী ছবির জন্য পান ১০ হাজার টাকা। এই ছবিতে তাঁর ছিল ক্যামিও রোল।
অনুপবাবু বলেন, “অভিনেত্রী হিসেবে আলাদা করে কী বলবে খুব যে ভালো তা নয় খুব খারাপ নয় মোটামুটি আর কি, তবে কথা শুনত মেয়েটা। অনেক বকাবকি করেছি কখনও পালটা জবাব দেয়নি। ও বেলঘরিয়া থাকত জানতাম না বলত বরাণগেরর দিকে থাকে। তবে ও খুব তাড়াতাড়ি কথা বলত। সেটা অবশ্য শিখিয়ে পড়িয়ে নিলে শুনত।
তিনটি ছবি করেছিলাম শেষ ছবিটা ছিল ২০১২ সালে তারপর তো যোগাযোগ কমে যায়। মাঝে একাবার ফোন করেছিল কোন কাজ আছে কি না জানতে চেয়ে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে না থাকলে যা হয় আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।