জুমবাংলা ডেস্ক : দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের দলীয় এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন। একই সঙ্গে তার ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিনও স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এলাকায় জায়গা-জমি ও চিংড়ি ঘের দখল-বেদখল এবং গবাদিপশু চুরি-ডাকাতির কারণে ব্যাপকভাবে আলোচিত এমপি জাফর আলম চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে কেন তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে যদি জবাব দেওয়া না হয় তবে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বরাবরে সুপারিশ করা হবে। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদানের আগে একে একে জাসদ, বাসদ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘একজন দলীয় এমপি হয়ে জাফর আলম মঙ্গলবার কক্সবাজার-১ আসনের পেকুয়া বাজারে এক নির্বাচনী সমাবেশে দলীয় সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে অনেক ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন।তিনি সমাবেশে এমন আপত্তিকর বক্তব্যও রেখেছেন যে, যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।’
তিনি বলেন, এসব কারণে তাকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারেরও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরের এক নির্বাচনী সমাবেশে এমপি জাফর আলম তাঁর বক্তব্যে আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ ঝাড়েন নানা কথা বলে।
তিনি দলীয় সভানেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘আমি একবার মনোনয়ন পেয়েছি। কিন্তু আমি শতবার মৃত্যুর মুখে আপনার জন্য গিয়েছি। আমি আমার জীবনের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি। আমি কক্সবাজারের এক জনসভায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরো বলেন ‘আমি ৪০ হাজার মানুষকে একদিনের খাবার খাইয়ে এক হাজার গাড়িতে মানুষ নিয়ে জনসভাকে সফল করেছি- অথচ আপনি সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করলেন আশেক উল্লাহর নাম।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।