লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে রয়েছে প্রায় ৫০ মিলিয়ন এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগী। মৃগী রোগের একটি লক্ষণ খিঁচুনি। খিঁচুনি হলো মগজে আকস্মিক অনিয়ন্ত্রিত তড়িৎ স্পন্দন। চেতনা লোপ, হাত-পা খিঁচুনি এর পর শরীর দৃঢ় স্থির হয়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে মুখ দিয়ে ফেনা বেরুনো, জিবে কামড় আর অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব হওয়া। এমনকি মল ত্যাগ হয়।
এই ঘটনাক্রমকে বলে কনভালসিভ ফিটস। কারও দুই বা ততোধিক অপ্ররোচিত এরকম সিজার বা খিঁচুনি হলে তখন একে মৃগী রোগ বলে। এদের প্রধান উপসর্গ খিঁচুনি হলেও হতে পারে হঠাৎ সব কিছু শূন্য মনে হওয়া। মেজাজে চড়াই-উতরাই, আকস্মিক হাতে পায়ে টান বা মোচড়ানো বা অবশ হয়। মৃগী রোগীদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এদের খিঁচুনি বারবার হলে এদের কিছু স্থানে যেতে বারণ করা উচিত। উন্মুক্ত আগুনের সামনে, চলমান মেশিনের সামনে বা উঁচুতে উঠতে নিষেধ করা হয়।
তারা সাঁতার কাটতে পারেন তবে কারও উপস্থিতিতে বা সাহায্যে থাকা ভালো। অথবা যিনি তার এমন অবস্থা সম্বন্ধে অবহিত তার সামনে। মগজে অন্তর্গত নানা সমস্যার কারণে এই মৃগী রোগ। এদের প্রকাশ আর চিকিৎসাও বিভিন্ন।
মৃগী নারী রোগীর গর্ভধারণ ডাক্তারের তত্ত্বাবধান আর নজরদারি আর পরামর্শে হতে হয়। সে সময় ওষুধ দেওয়া এর মাত্রা শনাক্ত ডাক্তার নির্ণয় করবেন। মৃগী রোগীর খিঁচুনি যদি ১০-১৫ মিনিট স্থায়ী হয় তাহলে যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। শিশুর মস্তিষ্কের এমআরআই, ইএমজি করতে হবে। সময়মতো ওষুধ খাওয়াতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।