বয়সের চাকা বার্ধক্যের দিকে ছুটবেই। বুড়িয়ে যাওয়া প্রথম ধরা পড়বে চুলের পাকে আর গলার কুঁচকে যাওয়া চামড়ার ভাঁজে। কিন্তু আধুনিক জীবনের গতি এতটাই বেশি যে, বয়স না হলেও ‘বার্ধক্য’ আগাম কড়া নাড়ে। বছর ত্রিশের যুবক-যুবতীর সিঁথির পাশেও উঁকি দেয় সাদা চুল। একটি-দু’টি থেকে নিমেষেই গোটা মাথায় কালো চুল সাদা হতে শুরু করে। মাথা ভরা কাঁচা-পাকা চুল মনে যতই কষ্ট দিক না কেন, তার সমাধান খোঁজা আবশ্যক।
চুলের রং ধরে রাখে মেলানোসাইট কোষ। এই কোষ আবার জন্মায় স্টেম কোষ থেকে। স্টেম কোষ সারা শরীরেই থাকে। এই স্টেম কোষ থেকেই বিভিন্ন রকম কোষের জন্ম হয়। তার মধ্যে মেলানোসাইট কোষও আছে।
ত্বক, চুলের রঙের জন্য দায়ী এই কোষ। মেলানোসাইট কোষ থেকে যে রঞ্জক তৈরি হয়, তার নাম মেলানিন। এই মেলানিনের কারণেই একমাথা কুচকুচে কালো চুল হয়।
কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয় অন্য জায়গায়। কিন্তু এর তারতম্য হলেই তখন চুলে পাক ধরতে থাকে। তাই মাথায় এমন জিনিস মাখতে হবে যা এই রঞ্জকের ভারসাম্য বজায় রাখে।
মাথায় মাখার তেলে কী কী মেশালে পাকা চুল কালো হবে?
মেথি ও কালোজিরে
মেথি এবং কালিজিরা চুল কালো ও ঘন করতে খুবই কার্যকর। মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড থাকে, যা চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, কালিজিরা চুল কালো করতে এবং মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়ক আয়ু বাড়বে!
আমলকি ও শিকাকাই
আমলকি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাকে। এতে থাকা ভিটামিন সি চুলকে উজ্জ্বল ও মজবুত করে। শিকাকাই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এই দুটি উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে এবং পাকা চুল কালো করতে সাহায্য করে।
কারি পাতা
আধকাপ নারকেল তেলে একমুঠো কারি পাতা মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে তেলটি ছেঁকে নিয়ে ব্যবহার করুন। অকালপক্কতা রোধে এই তেল খুবই উপযোগী হতে পারে।
জবা ফুল ও পাতা
জবা ফুল ও জবা পাতার নির্যাস চুল ঘন করতে, নতুন চুল গজাতে এবং পাকা চুল কালো করতে সাহায্য করে। এক কাপ নারকেল তেলে দু’টি জবা ফুল কিছু পাতা মেশান। তেলটি কম আঁচে ফোটান। ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে ব্যবহার করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।