জুমবাংলা ডেস্ক : শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দণ্ডিত নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। আগামী ৩ মার্চ তাকে আবার হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল পূর্ণাঙ্গ আদেশে এই কথা জানান।
এর আগে গত রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। পরে শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন দেন। তখন বলা হয়েছিল, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ অন্যরা জামিনে থাকবেন। তবে আজ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়নি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে, ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়।
এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন দেন। যার সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ৩১ জানুয়ারি।
তার আগেই রায় হাতে পেয়ে নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। একইসঙ্গে ২৫ যুক্তিতে দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।