জুমবাংলা ডেস্ক : জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে নিউইয়র্ক যাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন তিনি।তার ভাষণে প্রাধান্য পাবে বর্তমান বাংলাদেশের পুনর্গঠন কার্যক্রম এবং তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেলজয়ী হিসেবে অথবা নিজের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অসংখ্যবার গিয়েছেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কথা বলেছেন। তবে এবার তিনি জাতিসংঘে যাচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যাবেন তিনি। বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পরিচয়ে তিনি বৈশ্বিক সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন।
অধিবেশনের সাইড লাইনে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডিসহ একাধিক বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।এরই মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে কোনো বৈঠক হবে না’।
সাধারণ পরিষদের পাশাপাশি ড. ইউনূসের আর কী কী বৈঠক বা কার্যক্রম থাকতে পারে তা এখনো চূড়ান্ত নয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়া জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানাবে।সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন উপস্থিত থাকবেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, এ বৈঠকগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি।নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এ বিষয়ে কাজ করছে।
এদিকে, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ড. ইউনূসকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুইস হোটেলের বলরুমে সরকারিভাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল।
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফরকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ শাখা।ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্রে আগমনের দিন জেএফকে বিমানবন্দরে কালো পতাকা প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্ষোভ করবে দলটির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের দিন বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি নিয়েছেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে ২০-২৫ জন সফরসঙ্গী থাকতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের ৭ জন কর্মকর্তা রয়েছে। অন্য সময়ের রাজনৈতিক সরকারের মতো এবার জাতিসংঘ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিশাল কোনো প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে না।
সফরকালে তিনি ছাড়াও সফরসঙ্গী হবেন ড. ইউনূসের মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিউইয়র্কে সংস্থার সদর দপ্তরে শুরু হয়।বার্ষিক অধিবেশনের আলোচ্য সূচিতে সংঘাত নিরসন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করাসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ওটিটির সবচেয়ে বোল্ড ওয়েব সিরিজ এটি, ভুলেও কারও সামনে ভুল করেও দেখবেন না
উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের এক সপ্তাহ হবে ঐতিহ্যগতভাবে নতুন অধিবেশনের মূল অনুষ্ঠান।২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধিবেশনের ফাঁকে বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ২৯ সেপ্টেম্বর বিরতি থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।