Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনে বদলে যায় মানবসভ্যতা
    ইসলাম ধর্ম

    মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনে বদলে যায় মানবসভ্যতা

    Mynul Islam NadimDecember 20, 2024Updated:December 20, 20245 Mins Read
    Advertisement

    লাইফস্টাইল ডেস্ক : একবার ১৪০০ বছর আগের পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি দিন। এ ক্ষেত্রে উঁচু উঁচু ভবন, স্বর্ণ-রৌপ্যের স্তূপ ও চাকচিক্যপূর্ণ পোশাকের বিষয়াদি বাদ দিন। এগুলো তো পুরনো ছবির অ্যালবাম ও প্রাণহীন জাদুঘরেও দেখা যায়, বরং এটা দেখুন যে তখন মনুষ্যত্ব জাগ্রত ছিল কি না? পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত, উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত লক্ষ করে দেখুন, কোথাও মনুষ্যত্বের স্পন্দন পাওয়া যায় কি না এবং তাতে প্রাণের সাড়া ছিল কি না? জীবনের সমুদ্রে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলত। মনুষ্যত্বের বনে বাঘ, চিতা, বকরি ও হরিণকে নির্বিচারে খেয়ে ফেলত, মন্দ লোকেরা ভালো মানুষের ওপর এবং নিম্ন প্রকৃতির লোকেরা সম্মানিত মানুষের ওপর, প্রবৃত্তি বিবেক-বুদ্ধির ওপর, পেটের তাড়না আত্মার দাবির ওপর প্রাধান্য লাভ করেছিল।

    islamic

    কিন্তু এই অরাজক অবস্থার বিরুদ্ধে সমগ্র পৃথিবীতে কোনো প্রতিবাদ ছিল না, কোনো ক্ষোভ ছিল না। পুরো পৃথিবী যেন এক অচলায়তন শিলাখণ্ডে পরিণত হয়েছিল। বাদশাহ, উজির, ধনী-দরিদ্র্য সবাই স্থবির হয়ে পড়েছিল। সবাই অর্থমূল্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল।

    এমন কেউ ছিল না যে মনুষ্যত্বের খরিদদারকে উৎসাহিত করবে। যে মানুষকে ডেকে বলবে, এই পরিবেশ আমাদের মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়, এই পুরো পৃথিবী ও তার জীবন আমাদের উচ্চাশার তুলনায় সামান্য। কেননা আমাদের একটি অনন্ত জীবনের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা এই ক্ষণস্থায়ী জীবন এবং সীমাবদ্ধ পৃথিবীর ছোট অট্টালিকার জন্য নিজের আত্মাকে কিভাবে বিক্রি করতে পারি? জাতি ও রাষ্ট্র, এর থেকে এগিয়ে সম্প্রদায় ও গোত্র, এর থেকে বেড়ে মহল্লা ও পরিবার; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে মানুষ বিভক্ত হয়ে যায়।

    বড় বড় উচ্চাকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন মানুষ, যারা নিজেদের যোগ্যতা ও মর্যাদার ব্যাপারে বড় বড় দাবি জানাত তারাও বৃত্তবদ্ধ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। এতে কারো ভেতরে কোনো গ্লানি বা কুণ্ঠা ছিল না। কেউ এর থেকে বিস্তৃত পরিসরে মনুষ্যত্বের কল্পনা করতে পারত না। জীবনের সব সুরা ও সুধা ধোঁকা ও প্রতারণার জালে আটকে যায়। মনুষ্যত্ব এক প্রাণহীন লাশে পরিণত হয়েছিল।

    যাতে ছিল না প্রাণের সজীবতা, অন্তরের বোধ ও ভালোবাসার উষ্ণতা। মনুষ্যত্বের ছাদ আগাছা ও পরগাছায় ছেয়ে গিয়েছিল। যা রক্তপিয়াসি পাখি, বিষাক্ত কাঁটাযুক্ত গাছ ও ভয়ানক পশু দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। শুধু দেখা মিলত না মানুষের। যারা তখনো মানুষ ছিল, তারা খোঁয়াড়ের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল, পাহাড়ের চূড়া, খানকা ও ইবাদতখানায় আত্মগোপন করেছিল। তারা জীবনজগৎ থেকে চোখ বন্ধ করে নিজেদের কল্যাণ চিন্তায় মগ্ন ছিল।

    আর তখনই মনুষ্যত্বের এই শীতল দেহে উষ্ণ রক্তের প্রবাহ সৃষ্টি হলো, শিরা-উপশিরায় চাঞ্চল্য এবং দেহে প্রাণের স্পন্দন দেখা দিল। যে পাখি এই দেহকে মৃত ভেবে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল, এর ছাদে বংশ বিস্তার করেছিল, তাদের সেই ঘর নড়ে উঠল। প্রাচীন সিরাত গবেষকরা বর্ণনা করেছেন, পারস্য সম্রাট কিসরার প্রাসাদের গম্বুজ ধসে যায় এবং অগ্নিকুণ্ডের আগুন নিভে যায়। নতুন যুগের ঐতিহাসিকরা লেখেন, মনুষ্যত্বের অভ্যন্তরীণ কম্পনে তার বহিরাঙ্গনে কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল। মানবসভ্যতার দেহে নবপ্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের ফলে। যিনি সভ্য পৃথিবীর হৃৎপিণ্ড, পবিত্র মক্কায় আগমন করেছিলেন।

    তিনি পৃথিবীকে যে বার্তা দিয়েছিলেন তা মানবজীবনে সব ধরনের প্রশস্ততা ও প্রশান্তি এনেছিল। ইতিহাস সাক্ষী মানবজাতির শেখর ও ভিত্তিতে মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা যেভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল, তা তাঁর পূর্বাপরের কেউ কখনো পারেনি। তাঁর সেই বার্তাটি ছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল)। পৃথিবীর স্থবির চিন্তার জগতে এত বড় আঘাত আর কোনো বাক্য দিতে পারেনি। ফলে তা ক্রোধান্বিত হলো এবং বলল, ‘সে কি বহু উপাস্যকে এক উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে? এটা তো এক অতি আশ্চর্য ব্যাপার!’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ৫)

    ফলে তারা ভাবতে লাগল, এটা তাদের চলমান জীবনধারার বিরুদ্ধে এক গভীর ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সুতরাং তা প্রতিহত করতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের প্রধানরা সরে পড়ে এ কথা বলে, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের দেবতাগুলোর পূজায় তোমরা অবিচল থাকো। নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমূলক।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ৬)

    একত্ববাদের এই আহ্বান জীবন ও মনুষ্যত্বের চিত্রকে পুরোপুরি পাল্টে দেয়, যা চিন্তার পুরো কাঠামো এবং জীবনের পুরো ধাঁচকে প্রভাবিত করে। এই আহ্বানের মূলকথা ছিল, পৃথিবী নিজ থেকে জন্মানো কোনো আগাছা ও পরগাছার জঙ্গল নয়, এটা মালির যত্নে গড়া বাগান। মানুষ এই বাগানের সবচেয়ে মূল্যবান ফুল। এই ফুল হাজারো বাগানের মূলধন। এটা কোনো উদ্দেশ্যহীন বস্তু নয়, যা অযত্নে মলিন অবস্থায় পড়ে থাকবে। মানুষের মনুষ্যত্বের মূল্য কেবল তার স্রষ্টাই দিতে পারেন। মানুষের ভেতর আছে সীমাহীন প্রার্থনা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, সাহসী অন্তর, অস্থির হৃদয়; পুরো পৃথিবী মিলে যাকে শান্ত করা সম্ভব নয়। এই গতিহীন পৃথিবী তার সঙ্গে পথ চলে পারবে না। তার জন্য প্রয়োজন চিরন্তন জীবন ও অনন্ত এক জগৎ। যে জীবনের সামনে এই পার্থিব জীবন একটি ফোঁটা এবং পৃথিবী শিশুতুল্য। সেখানের সুখ-সমৃদ্ধির তুলনায় এখানকার সুখ-সমৃদ্ধি এবং সেখানকার কষ্টের তুলনায় এখানকার কষ্ট কিছুই না।

    আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে হজ প্যাকেজের বাকি টাকা

    পৃথিবীর বুদ্ধি-বিবেক এতটাই নিষ্কর্ম হয়ে গিয়েছিল যে তা বস্তু, অনুভূতি, শরীর ও পেটের বাইরে কোনো কিছু ভাবতে পারত না। তারা এগুলোর ভিত্তিতে কিছু মাপকাঠি বানিয়ে রেখেছিল এবং তার আলোকেই সব কিছু পরিমাপ করত। তাদের পরিমাপের বিষয় ছিল সহায়-সম্পদ, নেতৃত্ব, রাজত্ব, নারী ও বিলাসিতা। তারা তাদের এই মাপকাঠি দিয়ে মুহাম্মদ (সা.)-কে মেপে দেখতে চাইল। কিন্তু তারা বুঝতে পারল এসবের প্রতি তাঁর কোনো আগ্রহ নেই। তিনি যা চান তা এসবের চেয়ে আরো বড় কিছু। তাহলো মানবজাতির ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি। তিনি তাঁর জন্য এই পৃথিবীতে কোনো কৃত্রিম জান্নাত তৈরি করতে চান না। তিনি জান্নাত থেকে আসা মানবজাতিকে চিরস্থায়ী জান্নাতে চিরদিনের জন্য প্রবেশ করাতে চান। তিনি কোনো নেতৃত্ব ও রাজত্ব চান না, তিনি মানুষকে পৃথিবীর দাসত্ব থেকে মুক্ত করে রাজাধিরাজের অনুগত করতে চান। এর মাধ্যমে তিনি মানবজাতির সামনে পৃথিবীর অসারতা ও চিরস্থায়ী জীবনের সন্ধান দান করেন।

    তামিরে হায়াত থেকে আলেমা হাবিবা আক্তারের ভাষান্তর
    সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আগমনে ইসলাম এর ধর্ম বদলে মানবসভ্যতা মুহাম্মদ মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনে বদলে যায় মানবসভ্যতা যায়! সা.
    Related Posts
    ইসলাম

    ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখার শিক্ষা দেয় ইসলাম

    August 16, 2025
    জুমার বরকতময় দিন

    জুমার বরকতময় দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল

    August 15, 2025
    WiFi

    ব্রডব্যান্ড, ওয়াই-ফাই ও ইন্টারনেট ব্যবসার বিধান

    August 13, 2025
    সর্বশেষ খবর
    biggest loser documentary

    ‘The Biggest Loser’ Winners: Where Are They Now in 2025? Inside Their Lives After the Show’s Dramatic Transformations

    Pokémon Legends Z-A

    Pokemon World Championships Merch Sold Out by Scalpers

    Oklahoma Mandates Anti-Woke Test for Out-of-State Teachers

    Oklahoma Teachers Face Mandatory PragerU “Anti-Woke” Exam for Licensure

    আমার প্রেমিক যখন চাইবে তখন বিয়ে করব : মাহি

    Honda Insight million miles

    Pennsylvania Driver Nears Million-Mile Milestone in Historic Honda Insight

    human washing machine

    হিউম্যান ওয়াশিং মেশিন: ১৫ মিনিটে গোসল করিয়ে শুকিয়ে দেবে শরীর

    Top Garena Free Fire Max Characters: Key Strengths and Weaknesses

    Free Fire Max Redeem Codes Today: Unlock Diamonds & Exclusive Rewards (July 2025)

    resignation

    প্রথম বেতন পাওয়ার মাত্র ৫ মিনিটে পদত্যাগ! কর্মচারীর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন

    Final Fantasy X

    Final Fantasy X Crowned Most Emotional RPG in Japanese Poll of 4,700 Gamers

    bryan kohberger

    Leaked Prison Video Sparks Debate Over Bryan Kohberger’s Obsessive Behavior

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.