আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২০ সালে ভারত-চিনা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে, ভারতে চলা চিনা অ্যাপগুলির উপর প্রায় গণহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার জেরে ভারত থেকে পাত্তারি গোটাতে বাধ্য হয়েছিল ‘শেইন’। চার বছর পর ফের ভারতীয় বাজারে ফিরে আসছে এই চিনা ফাস্ট-ফ্যাশন ব্র্যান্ড। মুকেশ অম্বানীর ‘রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চারস’-এর হাত ধরে।
ভারতে হুহু করে বাড়ছিল জনপ্রিয়তা। চিনা ফাস্ট-ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘শেইন’-এর দিকে ঝুঁকছিলেন ভারতীয় উপভোক্তারা। কিন্তু, ২০২০ সালে ভারত-চিনা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে, ভারতে চলা চিনা অ্যাপগুলির উপর প্রায় গণহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার জেরে ভারত থেকে পাত্তারি গোটাতে বাধ্য হয়েছিল ‘শেইন’। চার বছর পর ফের ভারতীয় বাজারে ফিরে আসছে এই চিনা ফাস্ট-ফ্যাশন ব্র্যান্ড। মুকেশ অম্বানীর ‘রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চারস’-এর হাত ধরে। জানী গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে ফের পাওয়া যাবে, ‘শেইন’-এর পণ্য। ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রত্যাবর্তনকে চিহ্নিত করে। এর জন্য, রিলায়েন্সের সঙ্গে তারা প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় আগে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
এই অংশীদারী চুক্তির ফলে, শেইনের পণ্যগুলি রিলায়েন্স রিটেলের অ্যাপে এবং রিলায়েন্স রিটেইলের অফলাইন স্টোরগুলিতে পাওয়া যাবে। ভারতে তাদের ব্যবসার বিষয়ে শেইনের কিছু বলার অধিকার থাকবে না। তাদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সম্পূর্ণটাই পরিচালনা করবে রিলায়েন্স রিটেইলের মালিকানাধীন একটি সংস্থা। এই সংস্থা পরিচালনার জন্য মেটা বা ফেসবুকের প্রাক্তন ডিরেক্টর, মনীশ চোপড়াকে নিযুক্ত করতে পারে রিলায়েন্স, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, শেইন ইক্যুইটি বিনিয়োগ করবে না কিন্তু সংস্থা থেকে লাভের অংশ হিসেবে লাইসেন্স ফি পাবে। শুধুমাত্র ভারত থেকে হওয়া লাভের টাকা দিয়েই দিয়েই ভারতে শেইনের ব্যবসায় অর্থায়ন করা হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, সমস্ত তথ্য এবং অ্যাপ ভারতেই সংরক্ষণ করা হবে। শেইন সংস্থা এই তথ্যভান্ডারের নাগাল পাবে না।
২০০৮ সালে, শেইন সংস্থাটির প্রতিষঅঠা করেছিলেন ক্রিস জু। ভারতে ধাক্কা খাওয়ার পরই সংস্থাটি তাদের হোম বেস, চিন থেকে সিঙ্গাপুরে সরিয়ে নিয়েছিল। বর্তমানে চিনের সাইবারস্পেস প্রশাসনো সংস্থাটির কার্যক্রম পর্যালোচনা করছে। বাধ্যতামূলক শ্রমের অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তদন্তের সম্মুখীন। দেশে দেশে এই একের পর এক ধাক্কার প্রভাব পড়েছ লগ্নিকারীদের আস্থায়। ২০২৩-এর মে মাসে সংস্থার মূল্যায়ন ছিল ৬৬০০ কোটি ডলার। ২০২৪-এর শুরুতে তা ৪৫০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এই অবস্থায়, রিলায়েন্সের হাত ধরে ভারতের বাজার ধরতে চাইছে শেইন। ভারত থেকে লাভ বাড়িয়ে চিনের উপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্য নিয়েছে সংস্থাটি।
তবে, শেইন যে চার বছর ভারতের বাজারে ছিল না, তার মধ্যে আরবানিক, রোমওয়ে, অ্যাসোসের মত আরও অনেক ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্যাশনেবল পোশাক দিয়ে এই বাজার দখল করার চেষ্টা করেছে। এই অবস্থায়, ফাস্ট-ফ্যাশনের বাজার পুনরুদ্ধার করতে পারে কিনা শেইন, সেটাই দেখার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।