আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের তো বটেই, সারাবিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হলেন মুকেশ আম্বানি। আজ সারাবিশ্বই তাকে একডাকে চেনে। মুকেশের পাশাপাশি তার স্ত্রী নীতা আম্বানিও কম বিখ্যাত নন। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এত বয়স হয়ে গেলেও কিভাবে তারা নিজেদের বয়স ধরে রেখেছেন।
নীতা আম্বানির ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কোনো ষোড়শী বা অষ্টাদশীর চেয়ে একটুও কম নয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন মুকেশ আম্বানি এবং নীতার প্রেমের কাহিনী শুরু কিভাবে হয়েছিল?
বর্তমানে দুজনেই সমান জনপ্রিয়। আজ তাদের গোটা বিশ্ব একডাকে চিনলেও অনেকেই তাদের প্রেমের কাহিনী সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না। বিশেষত বিয়ের পূর্বে তাদের কিভাবে কোথায় কিরকম করে পরিচয় হয় এইসব। জানিয়ে রাখি যে, বলিউডের গল্পকেও হার মানাবে মুকেশ এবং নীতার প্রেম কাহিনী। জেনে নিন মুকেশ এবং নীতা আম্বানির প্রেমের গল্প।
একদম শুরু থেকেই শুরু করলে প্রথমেই আসবে মুম্বইয়ের পেডার রোডের কথা। ঠিক সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা, মুকেশ এবং নীতা তাদের প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কিন্তু যানজটের কারণে আটকে যেতে বাধ্য হন। সেখানেই জ্যামের মধ্যে মুকেশের মনে ভায়োলিন বাজতে শুরু করে নীতাকে দেখে। একদম ফিল্মি স্টাইলে বিয়ের অফার দেন নীতাকে। এরপর নীতা উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত গাড়ি চালাননি মুকেশ আম্বানি। সায় পেলে অম্লান বদনে আবারো গাড়ি ছোটান তিনি।
কর্মপটু, স্মার্ট এবং সুশিক্ষিতা হওয়ার কারণে মুকেশ আম্বনির বাবা ধীরুভাই আম্বানি নীতাকে নিজের পুত্রবধূ হিসেবে পছন্দ করে নেন। তাছাড়া নীতার নাচেও মুগ্ধ হয়েছিলেন ধীরুভাই আম্বানি এবং তার স্ত্রী কোকিলাবেন। এরপর সবকিছুই বেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। নীতাকে ধিরুভাই আম্বানি নিজের অফিসে ডেকে পাঠান। তারপর তাদের বিয়ে হয়।
কিন্তু নীতার জন্য মোটেই এত সহজ ছিলনা এই বিয়ে। ধীরুভাই তাকে বেশ অনেকক্ষণ জরিপ করে নেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। তারপর নীতা আম্বানির কাছে এসেছিলেন মুকেশ আম্বানি। প্রথমবার দেখা হওয়ার সময় নীতা একটু অস্থির বোধ করেন। এমনকি মুকেশের সাথে ৬-৭ বৈঠকের পরও নীতা খানিক অস্বস্তিতে ছিলেন। পরে অবশ্য তাদের শুভ পরিণয় হয়ে যায় এবং তারা এখন সুখে শান্তিতে ঘর করছেন।
কিন্তু এখানে আরেকটি মজার গল্প রয়েছে। জানা যায় ধীরুভাই আম্বানি নাকি খোদ নীতাকে ফোন করে অফিসে ডেকেছিলেন। কিন্তু নীতা সেকথা বিশ্বাসই করতে পারেননি। এমনকি নীতাকে নিজের পরিচয় দিলে সমস্তকিছুকে ধাপ্পাবাজি ভেবে এপাশ থেকে নীতা উত্তর দেন ‘‘আপনি যদি ধীরুভাই আম্বানি হন তাহলে আমি এলিজাবেথ টেলর।’’ সেই বলেই দ্বিতীয়বার ফোন রেখে দেন তিনি। এরপর তার বাবার বকুনি খেলে তৃতীয়বার ভালোভাবে কথা হয় এবং শেষমেষ মুকেশ এবং নীতার বিয়ে হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।