বিনোদন ডেস্ক : নিঃসন্দেহে মহেশ বাবু সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন বিখ্যাত তারকা। আজ দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক তারকা বলিউডে অভিনয় করতে আসছেন আবার অন্যদিকে বলিউডের বেশ নামিদামি তারকা চলে যাচ্ছেন দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করতে। এককথায় দুই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে বেশ ভালই সম্পর্ক ছিল এতদিন।
কিন্তু ওই যে বলে, বেশিদিন সম্পর্ক ভালো থাকেনা কারোর মধ্যে। আর এই সম্পর্ক ভাঙ্গনের পেছনে মূল হাত রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার। সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে যে কোন সময় আপনি যেকোনো মানুষের মনের কথা জানতে পেরে যান কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হয়তো বড় বড় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
এখানেও হয়েছে ঠিক তাই। বেশ কয়েক মাস ধরে হিন্দি ভাষা এবং চলচ্চিত্র নিয়ে টুকটাক তর্ক বিতর্ক চলছিল অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে। কিন্তু সম্প্রতি মহেশ বাবুর এমন একটি বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল সোশ্যাল মিডিয়া যার জন্য দুই ইন্ডাস্ট্রির ভালো সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
মহেশ বাবু কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন যে, বলিউডের সেই ক্ষমতা নেই মহেশ বাবুকে দিয়ে সিনেমা করাবে। মহেশ বাবুর বলিউডকে নিয়ে উদাসীনতার কথা সকলে জানলেও এই মন্তব্যটিকে মেনে নিতে পারেননি কেউ। স্বাভাবিকভাবেই বাকযুদ্ধে নেমে ছিলেন অনেক মানুষ। তবে এবার এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন বলিউডের অন্যতম প্রযোজক এবং পরিচালক মহেশ ভাট।
মহেশ ভাট বলেন, “হতেই পারে দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তারকাদের যোগ্য সন্মানিক দিতে পারছেন না বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকরা। আমি প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভীষণভাবে সম্মান জানাই। মহেশ বাবু একজন মেধাবী অভিনেতা এবং নিজের কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা তিনি আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন। হতেই পারে তিনি যে প্রত্যাশা করছেন তা বলিউড পূরণ করতে পারছে না। এতে মতবিরোধের কোন কারণ নেই। আমি অভিনেতার ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গল কামনা করছি। আমি মনে করি সকলের নিজস্ব মত প্রকাশ করার অধিকার আছে”।
যাকে নিয়ে এত তর্ক-বিতর্ক সেই মহেশ বাবু এবার নিজের মন্তব্য প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, “আমি যে কথাটি বলেছি সেই কথাটিকে অন্যভাবে বিকৃত করে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। বলিউড চিরকাল আমার কাছে সম্মানের জায়গা। তবে আমার মনে হয় বলিউডের শিল্প এখন অনেকটাই নিম্নমানের হয়ে গেছে। আমি কাউকেই ছোট করে কোন কথা বলতে চাই নি”।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।