বিনোদন ডেস্ক : কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে যাচ্ছেন, কী পরছেন, কী খাচ্ছেন- সব সময়ই চর্চায় তিনি। বলিউডে পা না রেখেও যে বিপুল উন্মাদনা তৈরি করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন বলিউডের তারকা দম্পতি অজয় দেবগন এবং কাজলের কন্যা নায়সা দেবগন।
তারই মাঝে সম্প্রতি চর্চা শুরু হয়েছে কালো থেকে কীভাবে দিনে দিনে এত ফর্সা হচ্ছে এই তারকা-সন্তান। নায়সার ক্রমবর্ধমান রূপের রহস্য কী? জানতে উন্মুখ অনেকেই।
কিশোরী বয়স থেকেই আলোকচিত্রীরা তাকে অনুসরণ করে চলেছেন। রাস্তায় বের হলেই ছবি। তাই ধারাবাহিক ভাবে কাজল-কন্যার ফটোশুট লক্ষ্য করে সম্প্রতি তফাৎ দেখতে পাচ্ছেন বলে দাবি এক দল আলোকচিত্রীর।
তাদের দাবি, অস্ত্রোপচার করিয়ে সুন্দরী হওয়ার চেষ্টা করছেন নায়সা। ত্বকের রং বদলেছেন, মুখ এবং স্তনেও তিনি কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন বলে দাবি একাংশের। সে নিয়ে যথারীতি চলছে জল্পনা। কতটা সত্যি এই জল্পনা?
এই কৌতূহল নিরসন করেছেন নায়সার মা, অর্থাৎ অভিনেত্রী কাজল দেবগন। এক সাক্ষাৎকারে কন্যার রূপ-রহস্য সম্পর্কে বলেন, ‘নায়সা সারাক্ষণ নেট ঘাঁটে। রূপচর্চা এবং স্বাস্থ্য নিয়ে সে সব জানে। সপ্তাহে তিন বার একটা ফেসমাস্ক লাগায়। আমাকেও করতে বলে। ও ঠিক ওর বাবার মতো, চেহারা এবং স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন।’
এমনকি, নায়সার প্রতিদিনের রুটিনের কথাও জানিয়েছেন কাজল। সকালে উঠে দুই-তিন গ্লাস হালকা গরম পানি খালি পেটে পান করেন নায়সা। তারপর সকালের নাস্তায় সিদ্ধ ডিম, টাটকা ফল এবং ওটস্ খান। সারাদিন এমনই স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখেন ১৯ বছরের নায়সা।
এত প্রস্তুতি কি অভিনয়ে আসার জন্যই?
বাবা অজয় দেবগন এবং মা কাজল, দুজনেই বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত দুই তারকা। তাদের কন্যা হয়ে নায়সা অভিনয়েই আসবেন এমনটাই অনুমান সবার। যদিও কাজল জানান, এখনো নিজে সেই ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি মেয়ে।
পরিচয়পত্রে মারা গেছেন তিনি, জীবিত হতে পারলেই মিলবে বয়স্ক ভাতা
কাজলের কথায়, ‘সবে ১৯ হলো। জীবনটা উপভোগ করুক। আমরা ওকে জোর করতে চাই না। ওর যা ইচ্ছা করবে। অভিনয়ে আসলে আসবে, যদি অন্য কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাতেও আমাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা থাকবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।