জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটায় অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে হাসিবুর রহমান (১৩) নামের মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় হত্যার সঙ্গে জড়িত ৬ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাতে বরগুনার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও পাথরঘাটা থানা পুলিশ হত্যাকারীর স্বীকারোক্তি মতে পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইনচটকি গ্রামে বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ড্রামে ভর্তি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত কিশোর হাসিবুর রহমান পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। সে পাথরঘাটা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
হাসিবুরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাসিবুরের বাবা শফিকুল ইসলাম গত কয়েক দিন ধরে অসুস্থ থাকায় হাসিবুর বাবার চায়ের দোকান দেখাশোনা করছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল সে। এ সময় পূজা দেখানোর কথা বলে তাকে অপহরণ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। পরের দিন হাসিবুরের হাত,পা ও মুখ বাঁধা নির্যাতনের একটি ভিডিও পাঠায় অপহরণকারীরা। এছাড়া হাসিবের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পরিবারের কাছে মুক্তিপণের জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় হাসিবুরের বাবা পাথরঘাটা থানায় জিডি করেন।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিডির সূত্র ধরে আবদুল্লাহ আল নোমানকে তার শ্বশুরবাড়ি চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশ গ্রাম থেকে গতকাল রাত আটটার দিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হাসিবুরকে অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন নোমান। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ বাইনচটকি বেড়িবাধ সড়কের পাশ থেকে ড্রামে ঢোকানো অবস্থায় হাসিবুরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, হাসিবুরকে অপহরণ করার পর পাথরঘাটা শহরের ইমান আলী সড়কে একটি বাসায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। মুক্তিপণের ওই টাকা না দেওয়ায় অপহৃত হাসিবকে হত্যা করা হয়। অপহরণ ও হত্যা ও মরদেহ গুমের সঙ্গে জড়িত ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান (১৯), আ. রহিম মুন্সি (৩৫) তানজিলা (২৮), তাহিরা (১৯), রহিমা (৫৫), আব্দুর রহিম কাজি (৪৮)। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, জিডির সূত্র ধরে আবদুল্লাহ আল নোমানকে আটক করেছে পুলিশ। নোমানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল রাতে হাসিবুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।