বিনোদন ডেস্ক : ১৯৬৮ সালের ৪ মার্চ মুক্তি পায় প্রখ্যাত পরিচালক ফ্রাঙ্কো জেফিরলির নির্মিত ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ সিনেমা। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন লিওনার্দো হোয়াইটিং ও অলিভিয়া হাসি। সিনেমাটি মুক্তির পর বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছিল।এমনকি চার বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
এই সিনেমায় লিওনার্দো হোয়াইটিং ও অলিভিয়া হাসি যখন অভিনয় করেন, তখন লিওনার্দোর বয়স ছিল ১৬, আর অলিভিয়ার ১৫। তবে সিনেমাটি বক্স অফিসে হিট হলেও বিতর্কে জড়িয়েছিল তাদের একটি বেডরুম দৃশ্য নিয়ে।
আর এ কারণে এত বছর পর স্বয়ং নায়ক-নায়িকাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। খবর চলচ্চিত্রবিষয়ক ম্যাগাজিন ভ্যারাইটির।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রনাট্য অনুযায়ী, সিনেমাটিতে রোমিও ও জুলিয়েটের একটি বেডসিন ছিল। ফলে লিওনার্দো-অলিভিয়া জানতেন তাদের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে কাজ করতে হবে। কিন্তু তাদের বলা হয়েছিল— কোনো দৃশ্যেই তাদের বিবস্ত্র দেখানো হবে না। তারাও জানিয়েছিলেন বিবস্ত্র হয়ে তারা শট দেবেন না। প্যারামাউন্টের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল, শরীরের রঙের আন্ডারওয়্যার পরিয়েই দৃশ্যের শুট করানো হবে। কিন্তু শুটিংয়ের সময়ে সব কিছু বদলে দেওয়া হয়। শুটিংয়ের পর অলিভিয়া- লিওনার্দোকে জানানো হয়েছিল, যে বিবস্ত্র দৃশ্যের শুটিং করা হয়েছে, তাতে তাদের মুখ দেখানো হবে না। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার উল্টোটা।
আর এসব কারণে গত ৩০ ডিসেম্বর লিওনার্দো-অলিভিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা মনিকার উচ্চ আদালতে মানহানির মামলা করেন। তাদের অভিযোগ, প্যারামাউন্ট পিকচার্স শিশু-কিশোরদের বিবস্ত্র ছবি পরিবেশন করেছে। এ সিনেমা মুক্তির পর থেকে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তারা। এ জন্য তারা অনেক কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ সিনেমায় দারুণ পারফরম্যান্স করার পরও তাদের ক্যারিয়ার থমকে যায়। সব কিছু মিলিয়ে তারা মনে করছেন ৫০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে তাদের।
ডিএসএলআর ক্যামেরার সুবিধা নিয়ে দুর্দান্ত ফোন নিয়ে হাজির টেকনো
এ সিনেমার পরিচালক ফ্রাঙ্কো জেফিরলি ২০১৯ সালে মারা গেছেন। তবে এ বিষয়ে প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।