জুমবাংলা ডেস্ক : বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডাটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপসচিব সৈয়দ মুজিবুল হক, জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডের এমডি মো. জাহিদ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. সেলিম প্রধান।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা বিল পরিশোধের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে আক্তার হোসেন বলেন, সৈয়দ মুজিবুল হক মুক্তিযোদ্ধাদের ডাটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচির পরিচালক ও ৬৪টি জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ডাটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেটগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপানো, ডেটাবেজ তৈরি, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয় বাবদ বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি এবং কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডকে এ ১ কোটি ৮৭ লাখ প্রাক্কলিত মূল্যের বিপরীতে ১ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪০ টাকায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত পত্রের জবাবেও সার্টিফিকেট গ্রহণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অথচ তৎকালীন কর্মসূচি পরিচালক সৈয়দ মুজিবুল হক হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতিগুলো ও ৯০ হাজার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন মর্মে প্রত্যয়ন দিয়েছেন। এর আংশিক সরবরাহ বিল বাবদ সাড়ে ৯৮ লাখ টাকা মঞ্জুর করেন। ওই টাকা থেকে ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা ভ্যাট/ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়েছে।
পাচারকৃত বিলিয়ন ডলার অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মামলার এজাহারে বলা হয়, সৈয়দ মুজিবুল হক মুক্তিযোদ্ধাদের ডাটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচির কর্মসূচি পরিচালক হিসেবে এটির আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ওই মালামালগুলো বাস্তবে গ্রহণ না করে মালামাল গ্রহণের প্রত্যয়ন প্রস্তুত করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের উদ্দেশ্য বিধিবহির্ভূতভাবে ভ্যাট/ট্যাক্স কর্তন করায় ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকার বিল মঞ্জুর করে সরকারি টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।