জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথে অসময়ে ‘মালচিং’ পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে সাফল্য এনেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমান। স্বল্প ব্যয় ও পরিশ্রমে ইতিমধ্যেই আয় করেছেন পুঁজির তিনগুণ। আগামী চার মাসে এ ক্ষেত থেকেই ৩-৪ লাখ টাকার মরিচ বিক্রির আশাবাদী তিনি।
সরেজমিনে লুৎফুর রহমানের মরিচ ক্ষেত দেখতে তার নিজ গ্রাম উপজেলার সমেমর্দানে যাওয়া হয় গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করেছেন তিনি। প্রতিটি গাছে ঝুলছে লাল-সবুজ বিষমুক্ত মরিচ। পাশেই পারিবারিক চাহিদা মেটাতে চাষ করেছেন, মাল্টা, লেবু আর বেগুন।
কথা হলে তিনি জানান, মৌসুম ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে মরিচ চাষের পরিকল্পনা ছিল তার। সেই থেকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী কিছুটা উঁচু ৭ শতক জমি প্রস্তুত করেন গেল মার্চ মাসের শুরুতে। পাশাপাশি ‘ধুমকেতু’ জাতের হাইব্রীড মরিচের বীজ সংগ্রহ করে প্রস্তুত করা হয় চারা। জমিতে উত্তমরূপে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক স্যার মিশিয়ে তৈরি করা হয় বেড। প্রত্যেক বেডে বিছানো হয় মালচিং পেপার। পেপারে নির্দিষ্ট দূরত্বে পরপর ছিদ্র করে রাখা হয়। পরে গেল ৯ মার্চ প্রত্যেক ছিদ্রে রোপণ করা হয় ৭ শতাধিক চারা। এতে খরচ পড়ে ৬ হাজার টাকা প্রায়।
রোপণের ২ মাস পর থেকেই মরিচ আসতে শুরু করে গাছে গাছে। এ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন তিনি। এখন মৌসুম না হওয়ায় ভালো চাহিদাও রয়েছে বাজারে। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। বিক্রি করা যাবে আরও টানা ৪-৫ মাস। প্রত্যেক গাছে ফলন হবে ৪-৫ কেজি করে। সে অনুপাতে এ ক্ষেত থেকে ৩-৪ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন রয়েছে তার।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, মৌসুমের আগে বা পরে মরিচ চাষ করতে পারলে এক বিঘা জমি থেকে ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকা আয় করা যায়। বর্ষা মৌসুমে অনেক সময় ঢলে পরা রোগে গাছ পঁচে যায়। এসময় মালচিং পেপার পদ্ধতি ব্যবহারে ভালো উপকার মিলে। এতে গাছ মরে যাওয়াসহ অন্যান্য রোগের আক্রমণ কম হয়। আগাছার আক্রমণ কম এবং ভালো ফলন পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।